নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জানুয়ারি৷৷ পেট্রোল সংকট দেখা দিয়েছে রাজ্যে৷ এই সংকটের জন্য খাদ্য ও জনসংভরণ মন্ত্রী ভানুলাল সাহা কার্য্যত আইওসিএল’কে দায়ি করেছেন৷ মঙ্গলবার মহাকরণে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ধর্মনগর তেল ডিপো পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে৷ কিন্তু, আইওসিএল সেখানে পাইপ লাইন নির্মাণ করছে না৷ ফলে, রেলের ওয়াগনে করে জ্বালানী তেল এনে ধর্মনগর তেল ডিপোতে মজুত করা যাচ্ছে না৷ তিনি বলেন, আইওসিএল গত নভেম্বরে ধর্মনগর তেল ডিপোতে পাইন লাইন নির্মাণ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ কিন্তু, এখনো পর্যন্ত সেই পাইন লাইন নির্মাণ হয়নি৷
তিনি জানান, সিদ্ধান্ত হয়েছিল এক ট্রেন জ্বালানি তেলের অর্ধেক শিলচরে রামনগরে তেল ডিপোতে এবং বাকি অর্ধেক তেল ধর্মনগর ডিপোতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে আইওসিএল৷ সে মোতাবেক পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে ধর্মনগর তেল ডিপো পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সমাপ্ত করেছে৷ কিন্তু, এখনো পর্যন্ত রেলের ওয়াগন থেকে তেল নিস্ক্রমণের জন্য পাইপ লাইন নির্মাণ করেনি আইওসিএল৷ তাদের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল গত নভেম্বরের মধ্যেই পাইপ লাইন নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হবে৷ কিন্তু, এখনো পর্যন্ত আইওসিএলের পক্ষ থেকে তেমন কোন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷
খাদ্য ও জনসংভরণ মন্ত্রী জানান, দিন দুই তিনেক জ্বালানি লোডিং না হলেই রাজ্যে সংকট দেখা দেয়৷ গত শনি ও রবিবার জ্বালানি তেল লোডিং হয়নি৷ তাই রাজ্যে এখন সামান্য সংকট দেখা দিয়েছে৷ অবশ্য এই সংকট দুয়েক দিনের মধ্যেই মিটে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, রেলে করে জ্বালানি তেল নিয়ে আসা সম্ভব হলে, এই সংকট দেখা দিত৷ কারণ, তখন ধর্মনগর তেল ডিপোতে বেশ কয়েকদিনের তেল মজুত রাখা সম্ভব হতো৷
এদিকে, পেট্রোল-ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে খাদ্য ও জনসংভরণ মন্ত্রীর কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের উপর নানা করারোপ করা হচ্ছে৷ ফলে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও জনগণের কোন উপকার হচ্ছে না৷ তাছাড়া প্রতিদিন তেলের দাম উঠানামা এই নিয়মানুসারেও জ্বালানি মূল্যে কোন প্রভাব পড়ছে না৷ তাঁর মতে, কেন্দ্রের নীতি বদল না হলে জ্বালানি তেল মূল্যবৃদ্ধির সমস্যার সমাধান হওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়৷