নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ জানুয়ারি৷৷ ভোটের প্রাককালে কংগ্রেস ও বিজেপি’র তরজা চরমে উঠেছে৷ কংগ্রেস টিকিটে জয়ী বিধায়ক রতন লাল নাথ বিজেপি দলে যোগদানের পর বিধায়ক পদ খারিজের দাবীতে উঠেপড়ে লেগেছে পি সি সি সভাপতি তথা বিধায়ক বীরজিৎ সনহা৷ সোমবার রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ রমেন্দ্র চন্দ্র উভয় পক্ষের মতামত জানতে চেয়েছেন৷ কংগ্রেস দল অধ্যক্ষের কাছে দশম তফশিলের আইনী প্রেক্ষাপট তোলে ধরে বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছেন পি সি সি সভাপতি বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা৷ রতন লাল নাথ শারীরিক অসুস্থতায় এদিন হাজির না থাকায় কোন মতামত দেয়নি অধ্যক্ষ রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথকে৷
বিধানসভার কোন সদস্য দলবদল করলে বিধায়ক পদ খারিজ করতে আইনী গ্যাড়াকল রয়েছে৷ দুপক্ষের মতামতের উপর পূর্ণাঙ্গ বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ৷ তাঁর মতে, বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার মুখে চট জলদি কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়৷ রতন লাল নাথ ১০ দিন সময়সীমা চেয়েছেন মতামত প্রকাশের জন্য৷ এই আবেদনে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিচার বিবেচনাধীন হওয়ার মতামত খুব সহসাই দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন শ্রীদেবনাথ৷
প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র হরেকৃষ্ণ ভৌমিক জানিয়েছেন অধ্যক্ষ বিধানসভার গড়িমা রক্ষায় সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বিশ্বাস রয়েছে কংগ্রেসের৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, দলত্যাগ আইনের জন্য বিধায়ক পদ খারিজ করার আইনী বিধান রয়েছে ভারতীয় সংবিধানের দশম তফশিলে৷ প্রশ্ণ উঠছে, নির্বাচন ঘোষণা হলে বিধায়ক পদ খারিজ করলেও কোন লাভ হবেনা কংগ্রেসের৷ তবে, বিজেপি দলের হয়ে বর্তমান সরকারের কোন বিধানসভা অধিবেশন না থাকায় কংগ্রেসের আন্দোলনের সারবত্বা নিয়ে প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে৷