ইডি –র জেরা মেয়রপত্নী রত্নাকে

কলকাতা, ২৮ নভেম্বর (হি. স.): নারদকাণ্ডে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার তলব করলেন এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের (ইডি)কর্তারা ৷ ৫ ঘণ্টা ধরে এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মেয়রের স্ত্রীকে ৷ পরে রত্না জানান, “আমার কাছে যা জানতে চেয়েছিল, তা ইডি-কে জানিয়েছি৷ যদি আমার বক্তব্যে কোনও অসঙ্গতি থাকে, ইডি ফের ডাকলে আসব ৷ তবে নারদকাণ্ডে নাম জড়ানোর প্রসঙ্গ এড়ান রত্না ৷
আজ সকাল ১০টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি -র দফতরে তিনি পৌঁছান। এর আগে তাঁকে বারবার ডেকে পাঠিয়েছে ইডি । যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজিরা এড়ান রত্নাদেবী। শেষমেশ আজ তিনি হাজিরা দিলেন।
নারদ ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এই মামলায় তাঁকে জেরা করেছে সিবিআই ও ইডি । জেরায় মেয়র টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন বলে ইডি সূত্রের খবর। তারপর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তির বিষয়ে জানতে চান তদন্তকারীরা। বাড়ির ব্যবসাপত্র স্ত্রী সামলান বলে তদন্তকারীদের জানান মেয়র। সেই কারণেই রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে ইডি ।
গত ২২ অগাস্ট তাঁকে তলব করে ইডি । ৪ অক্টোবর তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিদেশে থাকায় ইডি দফতরে যেতে পারেননি বলে রত্নাদেবী জানান তদন্তকারী সংস্থাকে। রত্নাদেবীর ভাই চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি জমা করেছিলেন তদন্তকারী সংস্থার কাছে। তবে সেই নথিতে খুশি হননি তদন্তকারী অফিসাররা। তাই রত্নাদেবীকে ফের তলব করা হয়। আজ সকালে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিপত্র নিয়ে ইডি দফতর তিনি হাজিরা দেন বলে সূত্রের খবর।
এর আগে ১০ অগাস্ট ইডি দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। প্রায় ৮ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। জেরায় নারদকাণ্ডে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি। যদিও নারদকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে টাকা নিতে দেখা গেছে(যদিও এই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান সমাচার)। এই ঘটনায় পুলিশ আধিকারিক এস এম এইচ মির্জ়া সহ সাংসদ সুলতান আহমেদ, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম এবং বিধায়ক ইকবাল আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি -র তদন্তকারীরা। এরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসাবাদে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ নভেম্বর নারদকাণ্ডে ফের কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্যালককে তলব করেছিল ইডি।
জানা গিয়েছে, ইডির দফতরে গিয়ে বেশকিছু নথি জমা দিয়ে আসেন শুভাশিস।এর আগে 8 নভেম্বর তাঁকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা গিয়েছে, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। যাতে দেখা যায়, মেয়রের স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা লেনদেন হয়েছে। তারপরই মেয়রের স্ত্রীকে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। সেই ইস্যুতেই আবার মেয়রের শ্যালককে ডেকে পাঠানো হয় বলে ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তলব করা হয়েছিল শ্যালকের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকেও।