পতিত জমি ও পুকুরের সদ্ব্যাবহারে উদ্যোগী পশ্চিমবঙ্গ সরকার

কলকাতা, ২৭ নভেম্বর (হি. স.): রাজ্যের নানা অংশে পতিত ও অনাবাদী জমিতে ফসল ফলানোর জন্য বাড়তি উদ্যোগী হচ্ছে সরকার। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে এই দাবি করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ড. আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্নের উত্তরে এ দিন তিনি জানান, “এ কারণে বেশ কিছু অঞ্চল চিহ্ণিত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।” শীঘ্র এই ব্যাপারে ইতিবাচক ফল মিলবে বলে তাঁর আশা।
সুন্দরবন পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ এলাকার কুশমন্ডি থেকে নির্বাচিত বিধায়ক নর্মদা চন্দ্র রায় প্রমুখ এ দিন অধিবেশনে কৃষিবিষয়ক নানা প্রশ্ন রেখেছিলেন৷ সে সব এবং সহায়ক কিছু প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, “১৯৪টি কৃষিখামারের প্রতিটিকে আরও আধুনিক করে তোলা হচ্ছে৷ তিন শতাধিক পুকুরে আধুনিক উপায়ে মাছ চাষের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে মৎস্য দফতরকে৷ যৌথ উদ্যোগে মাছ চাষ হবে ওই সব পুকুরে৷”
কৃষিমন্ত্রী বলেন, “জলাভাবের দরুণ যে সব অঞ্চলে চাষাবাদ হচ্ছে না, কৃষি আধিকারিকদের বলা হয়েছে সংলগ্ন নানা বাধ খতিয়ে দেখতে৷ পতিত ও অনাবাদী জমিতে ডাল ও সর্ষেচাষ হতেই পারে৷ এ ধরণের জমিতে বিনামূল্যে বীজ দেওয়ার কথা বিবেচনা করে দেখছে সরকার৷”
এই বীজ বন্টনের ব্যাপারে পক্ষ পাতিত্বের অভিযোগ তোলেন বিরোধী এক বিধায়ক৷ মন্ত্রী বলেন, “এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট অভিযোগ লিখিতভাবে দাখিল করুন৷” কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব সরকারের অভিযোগ ছিল, ‘ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের অনেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি৷” জবাবে মন্ত্রী জানান, “কান্দি মহকুমায় সাম্প্রতিক অতিবর্ষনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৬ কোটি ৬৮ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শিউলি সাহা জানতে চান, সিঙ্গুরে টাটার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া জমি ফের কৃষিযোগ্য করে তোলার কথা ছিল৷ সেই কাজ কতটা এগিয়েছে? সেখানে কত হেক্টর জমিতে এখন চাষ হচ্ছে? মন্ত্রী নির্দিষ্ট হিসাব দাখিল না করে জবাব দেন, “সবটাই কৃষিযোগ্য করা হয়েছে৷”
পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর কুমার জানার প্রশ্নের জবাবে আশিসবাবু এ দিন বলেন, “বাংলা ফসল বিমা যোজনা’-র মূল উদ্দেশ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিমাকৃত কৃষকদের সহায়তা করা৷ ২০১৬ সালের খরিফ মরশুমে এই প্রকল্প চালু হয়েছে৷ খরিফ এবং রবি- এই দু’রকম শষ্যের জন্য যথাক্রমে ৩০ লক্ষ ৫৫ হাজার এবং ১০ লক্ষ ৬৯ হাজার কৃষককে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে৷