BRAKING NEWS

কালীমন্দিরে গো মাংস : অপরাধীদের ধরতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বজরং-বিশ্বহিন্দু

কাটিগড়া (অসম), ২৬ নভেম্বর, (হি.স.) : কালীমন্দিরে গো-মাংস উদ্ধারকে কেন্দ্র করে কাটিগড়ায় পরিস্থিতি আপাতদৃষ্টিতে শান্ত থাকলেও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় এলাকায় সর্বাবস্থায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন।
বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন বলেছেন, যে বা যারা এমন সমাজবিরোধী সম্প্রীতি বিনষ্টকারী অপরাধ করেছে প্রশাসন অবশ্যই তাদের আটক করবে। প্রশাসনকে তাঁদের মতো কাজ করার সুয়োগ দেওয়া উচিত। কাউকে আইন নিজেদের হাতে না তুলতে অনুরোধ করেছেন বিধায়ক জৈন।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, কাটিগড়ায় নদুয়া এলাকায় স্থানীয় বিধায়ক বিজেপি-র আমরচাঁদ জৈনের বাড়ি লাগোয়া দুটি কালীবাড়ি রয়েছে। একটি নবনির্মিত এবং অপরটি পুরনো। রবিবার সকালে এলাকার কতিপয় ব্যক্তি মন্দিরে যান। দেখেন, পুরনো মন্দিরের বারান্দায় গরুর একটি কাটা মাথা রয়েছে। তার পাশেই নবনির্মিত কালীমন্দিরের বারান্দায় কিছু মাংস এবং গরুর একটি পা। বিষয়টি দাবানলের মতো চাউর গেলে কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হতে থাকেন। ছুটে আসেন বজরং দল, বিশ্বহিন্দু পরিষদের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কয়েকটি অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ। সবাই ঘটনার প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। উত্তেজনার পারদ বাড়তে থাকে চড় চড় করে।
খবর পেয়ে দলবল নিয়ে ছুটে আসেন থানার ওসি শংকর মণ্ডল। বিষয়কে কেন্দ্র করে জনতার সঙ্গে তাঁর খানিকটা বচসা হলে ঘটনাস্থল রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রিত করতে গিয়ে জখম হন ওসি মণ্ডল, এক এসআই আলংবার বসুমতারি-সহ দশ পুলিশকর্মী। ওসি-র গাড়িতেও হামলা করা হয়েছে বলে খবর।
আসেন এআইইউডিএফ নেতা তথা গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত প্রার্থী খলিলুর রহমান মজুমদার। খলিলুর রহমান মন্দিরে পা রাখতেই উত্তেজনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তিনিই মন্দিরে গো-মাংস রেখে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাঁধাতে চাইছেন বলে মারমুখি জনতা তাঁকে তেড়ে যান। তাঁর ওপর চড়াও হন। জনতার হাতে আহত হয়েছেন তিনিও। তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে।
ছুটে আসেন কাছাড়ের পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশন। পুলিশ সুপারের গাড়ি এবং খলিলুর রহমানের গাড়ি একই রং এবং একই মডেলের হওয়ায় প্রথমে মনে করা হয়েছিল এসপি-র গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল।
ইত্যবসরে কাটিগড়া-কালাইনে দেশের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে সংযোগকারী জাতীয় সড়কে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এখানে সড়ক অবরোধ গড়ে তুলেন বজরং দল, বিশ্বহিন্দু পরিষদ এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী দুষ্কৃতীকে অতি সত্বর গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদকারীরা। পরে প্রশাসনের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীকে গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি পেয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়ে।
এলাকায় বিশাল পুলিশ, সিআরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দফায় দফায় স্পর্শকাতর এলাকায় টহল দিচ্ছেন সশস্ত্র জওয়ানরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *