BRAKING NEWS

জামিনে ছাড়া পেলেন চেন্নাইয়ের ধৃত কার্টুনিস্ট

চেন্নাই, ৬ নভেম্বর (হি.স.) : সোমবার জামিনে ছাড়া পেলেন চেন্নাইয়ের ধৃত কার্টুনিস্ট জি বালা। এদিন তাঁকে তিরুনেলভেলি জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিন দেন। জি বালার গ্রেফতারির প্রতিবাদে এদিন প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছে চেন্নাই প্রেস ক্লাবের তরফে। জামিনে ছাড়া পেয়ে তিনি বলেন, “আমি খুন করিনি। তাই কোনও দুঃখ নেই। আমার কার্টুনের মাধ্যমে সরকারের অদক্ষতাকে আবারও সামনে আনব। আমি থামব না”
মহাজনের হয়রানির শিকার হয়ে সম্প্রতি তিরুনেলভেলি জেলাশাসকের দফতরের সামনে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন এক পরিবারের চার সদস্য। সেই ঘটনার সমালোচনা করে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী ও প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে কার্টুন পোস্ট করায় চেন্নাইয়ে গ্রেফতার হন এক কার্টুনিস্ট। জি বালা নামে ওই কার্টুনিস্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অরুচিকর ও অবমাননাকর কার্টুন এঁকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিস্বামীকে অপমান করেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধি ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করা হয়।
কার্টুনে দেখানো হয়েছে, এক শিশু অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে। আগুন তখনও জ্বলছে। শিশুর দেহ ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিরুনেলভেলির পুলিশ কমিশনার, জেলাশাসক এবং মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী। যাঁরা নগ্ন অবস্থায় চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে টাকা দিয়ে নিজেদের গোপনাঙ্গ ঢাকছেন। কার্টুনটি ফেসবুকে পোস্টে হতেই ভাইরাল হয়ে যায়। প্রচুর শেয়ার হতে থাকে। তবে একাধিকবার অভিযোগ দায়ের করেও সুরাহা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঋণের টাকা মিটিয়ে দিয়েও হয়রানি বন্ধ হয়নি। এরপরই জেলাশাসকের দফতরের সামনে তাঁরা গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের তরফে ঘটনার নিন্দা করা হয়।
পরে তিরুনেলভেলির জেলাশাসক সন্দীপ নান্দুরির অভিযোগের ভিত্তিতে জি বালাকে গ্রেফতার করে জেলা ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, চেন্নাইয়ের বাসিন্দা জি বালা জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে একটি কার্টুন আঁকেন এবং সেটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এই ঘটনায় জেলাশাসক অভিযোগ দায়ের করেন। জি বালার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০১ ধারা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করা হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশ পরে মহাজন, তাঁর স্ত্রী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী জানান, মহাজনরা অত্যধিকহারে যাতে সুদ না নিতে পারেন, তারজন্য সরকার ২০০৩ সালে একটি আইন আনে। জরিমানা সম্পর্কিত যেকোনও অভিযোগে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য জেলাশাসক ও পুলিশ কর্তাদের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *