রেলমন্ত্রীর সফর বাতিল, পিছিয়েছে উদয়পুর-গর্জি পরিষেবার উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ নভেম্বর৷৷ রেলমন্ত্রী পিয়ূষ গোয়েলের ত্রিপুরা সফর বাতিল হয়েছে৷ ফলে, উদয়পুর-গর্জি রেল পরিষেবার উদ্বোধন

রেলমন্ত্রী পিয়ূষ গোয়েল

আবারো পিছিয়েছে৷ রেলমন্ত্রীর এই সফর বাতিল সম্পর্কে বিস্তারিত কোন কারণ জানা সম্ভব হয়নি৷ এদিকে, রেলমন্ত্রীর সফর বাতিল হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই গর্জিবাসি কিছুটা হতাশ হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

শুক্রবার মহাকরণে পরিবহন সচিব সমরজিৎ ভৌমিক জানিয়েছেন, আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর রেলমন্ত্রীর রাজ্য সফর বাতিল হয়েছে৷ পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের নির্মাণ শাখার ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার আজ রাজ্য সরকারকে এই সূচনা দিয়েছেন৷ পরিবহন সচিব জানান, রেলমন্ত্রীর সফর সূচিতে উদয়পুর-গর্জি রেললাইন জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার বিষয়টি ছিল৷ তাছাড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস সপ্তাহে দুই দিন থেকে বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল৷ স্বাভাবিকভাবেই রেলমন্ত্রীর সফর বাতিল হয়ে যাওয়ায় তা আপাতত হচ্ছেনা৷

এদিকে, আগামীকাল পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের নির্মাণ শাখার জেনারেল ম্যানেজার এনকে প্রসাদ রাজ্যে আসছেন৷ মূলত, আগরতলা সাব্রুম ব্রডগেজ লাইনের নির্মাণ কাজের স্থিতি খতিয়ে দেখতেই তাঁর এই সফর বলে পরিবহন সচিব জানিয়েছেন৷

এদিন পরিবহন সচিব বলেন, গত পরশু রেলওয়ের আধিকারিকদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ মূল আলোচ্য বিষয় ছিল বিলোনিয়া এবং সাব্রুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে কাজের স্থিতি কি পর্যায়ে রয়েছে তা নিয়ে৷ তিনি জানান, রেলপথ নির্মাণে বিশেষ কোন সমস্যা নেই৷ ২০১৮ সালের মার্চে বিলোনিয়ায় এবং ২০১৯ সালের জুন মাস নাগাদ সাব্রুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হবে৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, রেলপথ নির্মাণে বিলোনিয়া পর্যন্ত কোন সমস্যা না থাকলেও, বিলোনিয়া থেকে সাব্রুম পর্যন্ত কিছু জায়গায় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি৷ তবে, তা খুব শীঘ্রই সম্পন্ন করা হবে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়েকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷

এদিকে, আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভারত-বাংলা স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক আগামী ডিসেম্বর মাসে আগরতলায় অনুষ্ঠিত হবে৷ গত বৈঠকটি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ এদিকে, এই রেল সংযোগের ক্ষেত্রে ভারতের অংশে মোট ৭২ একর জমির মধ্যে ৬৭ একর জমি ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার রেলওয়েকে হস্তান্তর করেছে৷ বাকি ৫ একর ডিসেম্বরের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে৷ বাংলাদেশের অংশে জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে৷ ২০১৮ সালে ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতের অংশে এবং ২০১৯ সালের জানুয়ারীর মধ্যে বাংলাদেশের অংশে রেললাইন নির্মাণ সমাপ্ত করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷ ২০১৯ সালের জানুয়ারীতেই আগরতলা-আখাউড়া রেল পরিষেবা চালু হউক, সেই চেষ্টা চলছে৷