চাকুরীচ্যুত শিক্ষকরা যাচ্ছেন না সুকলে, বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২ নভেম্বর৷৷ ১০,৩২৩ জন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা এখন বিদ্যালয়মুখী হতে চান না৷ ফলে সারা রাজ্যেই বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন লাটে উঠছে৷ সমগ্র রাজ্যের সাথে বিশালগড়ের বিদ্যালয়গুলিতেও পঠন পাঠনের অবস্থা করুণ৷ কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে বিদ্যালয়গুলিতে পঠন পাঠন চলছে৷ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ৩১ শে ডিসেম্বরের পর তাদের আর চাকরি থাকবে না৷ বহু শিক্ষক হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন৷ তাদের মানসিক অবস্থাও ভালো নেই৷ তাদের পরিবারের পক্ষ থেকেও বিদ্যালয়ে যেতে বারণ করেছে বলে জানা যায়৷ তাছাড়া বহু শিক্ষকের ৭ বছর চাকরি চলাকালীন ২/৩ মাস ছুটি পাওনা রয়েছে৷ তারা এখন বাড়িতে বসে ছুটি কাটাচ্ছেন৷ ফলে বিশালগড়ের বহু সুকলের পঠন পাঠন লাটে উঠেছে৷ এই বিদ্যালয়গুলিতে বেশির ভাগ শিক্ষকই রয়েছে ১০,৩২৩ জনের মধ্যে৷ যেহেতু তারা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না স্বাভাবিক ভাবেই পঠন পাঠন ব্যহত হচ্ছে৷ কিছুদিনের মধ্যেই সমস্ত বিদ্যালয়গুলিতে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে৷ প্রশ্ণ পত্র তৈরি করা, পরবর্তী সময় উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা, ছাত্রছাত্রীদের প্রগতিপত্র তৈরি করা সমস্ত কিছু কিভাবে করা হবে তা প্রতিটি সুকলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে দুশ্চিন্তার৷ যদিও টেটের মাধ্যমে অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে যোগদান করেছে কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানা যায়৷ রাজ্য সরকার ১২ হাজার অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ করে বিদ্যালয়গুলিতে সংকট দূর করার পদক্ষেপ নিয়েছিল৷ কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর সেই আশাও এখন ক্ষীন৷ কিছু দিনের মধ্যেই যদি রাজ্য সরকার কোন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিদ্যালয়গুলির হাল না ফেরায় তাহলে বিদ্যালয়গুলিতে পঠন পাঠন একেবারে ভেঙ্গে যাবে বলে মনে করছে অভিভাবক মহল৷