পাটনা, ১৪ অক্টোবর (হি.স.) : দেশের সংস্কৃতির অগ্রগতির জন্য মানব সংস্কৃতির ধারাবাহিক বিকাশের ওপর জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, শিক্ষার পরিবর্তে শিক্ষার প্রচলনকে প্রসার করে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে দেশকে শক্তিশালী করা যায়।
শনিবার পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিন আরও বলেন, আজকের যুগে শিক্ষার পরিবর্তে শেখার প্রয়োজন রয়েছে এবং প্রত্যেক যুগে মানুষ নিজের জীবনের নতুনত্ব যোগ করে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এজন্য নতুন নতুন আবিষ্কার করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, কৃত্রিম পরিবর্তনের মাধ্যমে নয় বরং মৌলিক পরিবর্তনের মাধ্যমে জীবনের নতুন উচ্চতায় যাওয়া সম্ভব। তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনে একটি বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের প্রবণতা রয়েছে এবং এই বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুবকদের এগিয়ে যেতে হবে।
এদিন পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের শাসক জোটে ফেরার পর এই প্রথম কোনও অনুষ্ঠানে পাশাপাশি দুজনে উপস্থিত হলেন। তাইওয়ানের সফরকালের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত এখন অন্ধ বিশ্বাসের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে এসেছে তথ্য প্রযুক্তি প্রযুক্তির বিপ্লবের সাথে। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উদযাপন বছর উল্লেখ করে তিনি ছাত্র, শিক্ষক ও সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাধারণ সমস্যাগুলোর সমস্যার সমাধান করতে সমাধান পথ খুঁজতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যুব শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান। পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ৮০ কোটি মানুষের ৬৫ শতাংশের জনসংখ্যার ৩৫ বছর বয়সী তরুণ শক্তি দেশকে অনেক কিছু দিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্টার্টআপ মিশনে বিশ্বে আমাদের দেশ চতুর্থ স্থানে রয়েছে এবং যদি তরুণ শক্তি এখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তবে ভারত শুরুতে বিশ্বের প্রথম স্থানে থাকবে। তিনি বলেন, দেশের তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে দেশের ইতিবাচক ফলাফলের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ফল আসতে পারে যা দেশের নতুন উচ্চতা স্পর্শ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় কেবল রাজনীতিক নয়, বরং দেশের যোগ্য সাহিত্যিক লেখককেও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আজ ভারতের কোনও রাজ্য নেই, যেখানে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম পাঁচজন ব্যক্তি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন না।
বিহারের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ পালন করবে, বিহার দেশের সমৃদ্ধশালী রাজ্যগুলির সারিতে থাকবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রীকে পাটনা বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক ও মুখ্যমন্ত্রী সহ অনেকে। বিমানবন্দর থেকে সোজা পাটনা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।