প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতা নির্ণয়ে নাম নথিভুক্তের মেয়াদ বাড়ল, বুনিয়াদী স্তরে শিক্ষকতায় নিযুক্ত সেকেন্ডারী হেডের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে না ঃ শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ সেপ্ঢেম্বর৷৷ শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং যোগ্যতা নির্ণয়ে বুনিয়াদী স্তরের শিক্ষকদের নাম নথিভুক্ত করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে৷ অন্তিম তারিখ ৩০ সেপ্ঢেম্বর বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বুনিয়াদী শিক্ষা দপ্তর৷ এদিকে, সেকেন্ডারী হেডে যে শিক্ষকদের নিয়োগ হয়েছে তাঁদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং যোগ্যতা নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী৷
শিক্ষার অধিকার আইন সংশোধনী মোতাবেক বুনিয়াদী স্তরের শিক্ষকদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং যোগত্য নির্ণয় বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সে অনুযায়ী বুনিয়াদী স্তরের শিক্ষক যাঁদের দ্বাদশমানে ন্যুনতম ৫০ শতাংশ নম্বর নেই এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট নেই তাঁদের আগামী ১৫ সেপ্ঢেম্বরের মধ্যে এনআইওএস’র পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ কারণ, বুনিয়াদী স্তরের প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকরা এই প্রক্রিয়ার অন্তর্গত শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং যোগ্যতা নির্ণয়ে উত্তীর্ণ না হতে পারলে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চের পর থেকে তাঁদের চাকুরী বাতিল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এই বিষয়ে প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের নাম নথিভুক্তের সময়সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্র৷ বুধবার বুনিয়াদী শিক্ষা দপ্তর এব বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার বুনিয়াদী স্তরের প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং যোগ্যতা নির্ণয়ের প্রক্রিয়ায় নাম নথিভুক্তের সময়সীমা ১৫ সেপ্ঢেম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩০ সেপ্ঢেম্বর করেছে৷ এই সময়ের মধ্যে সকলকে এনআইওএস’র পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে হবে৷
এবিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় মহাকরণে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, অনেক শিক্ষকদের এনআইওএস’র পোর্টালে নাম নথিভুক্ত হয়নি৷ অনলাইন পদ্ধতিতে নাম নথিভুক্তের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি৷ তাই কেন্দ্রীয় সরকার আজ জানিয়েছে, সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে৷ অন্তিম তারিখ ১৫ সেপ্ঢেম্বরের বদলে ৩০ সেপ্ঢেম্বর করা হয়েছে৷
তিনি আরও জানান, বুনিয়াদী স্তরের স্নাতক এবং অস্নাতক ২৭০০ জন শিক্ষক ইগনৌ’র অধীনে শিক্ষক প্রশিক্ষনের কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন৷ দ্বাদসমানে তাঁদের ন্যুনতম ৫০ শতাংশ নম্বর নেই৷ তাই এখন তাঁদেরও এনআইওএস’র পোর্টালে যোগ্যতা নির্ণয়ের প্রক্রিয়ায় নাম নথিভুক্ত করতে হবে৷ তাঁদের দ্বাদশমান ন্যুনতম ৫০ শতাংশ নম্বর সহ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ডিএড কোর্সও করতে হবে৷
শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যে বর্তমানে বুনিয়াদী স্তরে প্রশিক্ষণহীন সরকারী শিক্ষকের সংখ্যা ৪৪১৭ জন৷ বেসরকারী সুকলের শিক্ষকদের মিলিয়ে মোট প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার৷ তাঁদের প্রত্যেককেই কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মোতাবেক এনআইওএস’র পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে হবে৷
এদিন তিনি আরও জানান, সরকারী সুকলগুলিতে যাঁরা সেকেন্ডারী হেডে শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছেন তাঁরা বুনিয়াদী স্তরে শিক্ষকতা করলেও, বুনিয়াদী শিক্ষক হিসেবে তাঁরা বিবেচিত হবেন না৷ ফলে, শিক্ষার অধিকার আইন সংশোধনী মোতাবেক শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং যোগ্যতা নির্ণয়ের প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নিতে হবে না৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুকল পরিচালনায় প্রয়োজনের তাগিদে সেকেন্ডারী হেডে নিয়োগ করা শিক্ষকদের বুনিয়াদী স্তরের সুকলগুলিতে শিক্ষকতার জন্য পাঠানো হয়৷ কিন্তু, আইন অনুযায়ী কখনোই পদ মর্যাদা বদল করা যায় না৷ তাছাড়া, আইন বদল করাও সম্ভব নয়৷ তাই, সেকেন্ডারী হেডে নিয়োগ শিক্ষকরা কখনোই বুনিয়াদী স্তরের শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত হবে না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *