আগরতলার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী, খালের পাড়ের বাসীন্দারা জানালেন দাবী-আপত্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ সেপ্ঢেম্বর৷৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার শনিবার সকালে আখাউড়া চেকপোস্ট, আখাউড়া সীমান্তে কালাপানিয়া খাল,

শনিবার আগরতলায় সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷ ছবি নিজস্ব৷

কাটাখাল এবং রঞ্জিতনগর এলাকা পরিদর্শন করেন৷ পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যসচিব সঞ্জীব রঞ্জন, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ড মিলিন্দ রামটেকে, মহকুমা শাসক সমিত রায়চৌধুরী, পূর্ত দপ্তরের মুখ্যবাস্তুকার এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিগণ উপস্থিত ছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে আখাউড়া চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন৷ সেখানে বি এস এফ -এর পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে গার্ড-অফ-অনার দেওয়া হয়৷ সেখানে বি এস এফ-র উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কথাবার্তা বলে আখাউড়া সীমান্তে কালাপানিয়া খালের শেষ প্রান্তটি পরিদর্শন করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী সেখানে এলাকাবাসীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং এলাকার বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন৷ এলাকাবাসীরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, এবার অতিবৃষ্টির ফলে কালাপানিয়া খালের জলে আশপাশের ঘরবাড়ী ও চাষের জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী কালাপানিয়া খালটি পাকা, বড় ও গভীরতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পূর্ত দপ্তরের মুখ্যবাস্তুকারকে নির্দেশ দেন৷
মুখ্যমন্ত্রী এরপর রঞ্জিতনগর স্ল্যুইচ গেইট পরিদর্শন করেন৷ সেখানে এলাকাবাসীরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টির ফলে কাটাখালের জলে প্রায় ২৫টি পরিবারের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ত দপ্তরের মুখ্যবাস্তুকারকে কাটাখালটিকে পাকা করার জন্য উদ্যোগ নিতে বলেন৷ আগামী দুই মাসের মধ্যে এস্টিমেট করে টেন্ডার ডেকে কাজটি শুরু করার জন্য পূর্ত দপ্তরকে নির্দেশ দেন৷ তারপর মুখ্যমন্ত্রী রঞ্জিতনগর এলাকা পরিদর্শনে যান৷ সেখানে এলাকাবাসীরা মুখ্যমন্ত্রীকে এবারের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী পূর্ত দপ্তরের মুখ্যবাস্তুকারকে নির্দেশ দেন কাটাখালের গভীরতা আরও বাড়ানোর জন্য এবং খালের দুই পাড়ে উঁচু করে কংক্রীটের ওয়াল নির্মাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে৷ বন্যা হলে কাটাখালের জল থেকে চাষের জমি ও ঘরবাড়ীকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় বিধায়ক ও এলাকাবাসীদের নিয়ে সভা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্যও পূর্ত দপ্তরকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কাজটি সম্পাদন করতে এলাকাবাসীরা প্রয়োজনীয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে তারা মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন৷