গুয়াহাটি, ৩ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : দেশের জন্য সমর্থবান নাগরিক সৃষ্টি করতে প্রত্যেক শিক্ষককে দায়বদ্ধতার সঙ্গে নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা ছাত্রছাত্রীদের গুণগত শিক্ষা প্রদান করে তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে শিক্ষকদের। রবিবার খানাপাড়া পশু চিকিৎসা বিজ্ঞান কলেজ ময়দানে সর্বশিক্ষা অভিযানের অধীনে ৬,১৭২ জন টেট উত্তীর্ণ শিক্ষকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে প্রদত্ত ভাষণে এই কথাগুলি বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত তথা প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার আলো দেখাতে পারেন শিক্ষকরা। তাই আজকের নবনিযুক্ত শিক্ষকদের এই দায়িত্ব নিতে হবে বলে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, শিক্ষকতা কোনও সাধারণ পেশা নয়। এটা এমন এক পেশা, যার দ্বারা সমাজসেবার পাশাপাশি দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে রাষ্ট্র নির্মাণে অংশীদার হওয়া যায়। নবনিযুক্ত শিক্ষকদের জ্ঞান, ভক্তি এবং ত্যাগের মনোভাব নিয়ে নিজের নিজের কর্তব্য পালন করতে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল সরকার গড়লে ২৮ হাজার টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হবে। প্রদত্ত সেই প্রতিশ্রুতি পালন তাঁর সরকার করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। জানান, ডিমা হাসাও জেলার উমরাংসোয়ে এক হাজার বিঘা জমির ওপর অসম অসামরিক সেবা (আসাম সিভিল সার্ভিস বা এসিএস) প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন হবে। এর দ্বারা কেবল অসমেরই নয়, অন্যান্য রাজ্যের সিভিল সার্ভিসের অফিসাররা প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন।
রাজ্যের বিকাশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এক পরিবেশ গড়ার উদ্দেশে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য অসমের পড়ুয়াদের বহিঃরাজ্যে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এ প্রসঙ্গে গুয়াহাটিতে প্রস্তাবিত নির্মীয়মাণ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৫ তলার টুইন টাওয়ারের তথ্যও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, প্রস্তাবিত টুইন টাওয়ারে আন্তর্জাতিক বিণিজ্য কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি গুয়াহাটিকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর সরকার বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।