নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ আগস্ট ৷৷ স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর রেকর্ডের ভাষণ সেন্সরের অভিযোগে প্রসার ভারতী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতর আন্দোলন কর্মসূচীর রূপরেখা নির্র্ধরণে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী শনিবার এক জরুরী বৈঠক করেছে৷ বৈঠকে ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই ইস্যু জিইয়ে রাখার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে৷
সূত্রের খবর, এদিন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ রাজ্যে বিজেপিকে কড়া মোকাবিলা করতে এই ইস্যু মূল হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যরা৷ রাজ্যের সাংসদ শঙ্কর প্রসাদ দত্ত আগামী লোকসভা অধিবেশনে বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করবেন বলে স্থির হয়েছে৷ তাছাড়া, বাক্ স্বাধীনতা হরণ এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আঘাতের অভিযোগ এনে রাজ্যব্যাপী বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতর প্রচার অভিযান চালানোর বিষয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে৷ বিধানসভা নির্র্বচন পর্যন্ত এই ইস্যুটি টেনে নিয়ে ময়দান গরম করে রাখতে চাইছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যরা৷ একচুল জমিও কোনভাবেই বিজেপিকে ছেড়ে দেওয়া যাবেনা, তাই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ সেন্সর সিপিএমের কাছে অন্যতম প্রধান নির্বাচনী ইস্যু বলে মনে করছে সিপিএম৷
এদিকে, শনিবার দুপুরে বিশালগড় স্থিত চেলিখলা বাজারে সিপিএম দলের পক্ষ থেকে আগামী ১৫-৩১ আগষ্ট জাতীয় প্রচার অভিযান উপলক্ষে রাজ্যের সর্বত্র জন জমায়েত সংগঠিত করতে ওঠে পড়ে লেগেছে বামফ্রন্ট৷ চেলিখলা এলাকা সহ বাজার পরিক্রমা করে এক মিছিল সংগঠিত করেছে সিপিআইএম বিশালগড় কমিটি৷ তবে মিছিল শেষে বাজারে এক জমায়েত সংগঠিত করে৷ উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় বিভাগিয় কমিটির সদস্য বেনীমাধব দে, বিশালগড় নগর পঞ্চায়েত ভাইচ চেয়ারম্যান পার্থ প্রতীম মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা৷ সভায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন উপস্থিত নেতৃত্বরা৷ বেনীমাধব দে বক্তব্য রাখেন ছয় দফা দাবী সনদ নিয়ে৷ দাবীগুলির মধ্যে কৃষকদের কৃষিঋণ মকুব, ফসল বিক্রির আইনি অধিকার, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারীকরণ বন্ধ করা, বছরে দুই কোটি চাকুরির প্রতিশ্রুতি রূপায়ন, জিএসটির হার সংশোধন এবং মহিলা সংরক্ষণ বিল পাসের দাবি রাখেন৷ তাই আগামী ১৫-৩১ আগষ্ট জাতীয় জন জমায়েত সংগঠিত করার আহ্বান রাখেন সকল স্তরের জনগণের কাছে৷
2017-08-20

