ঘনিয়ামারায় বাবুল মিয়ার মৃত্যু রহস্য উন্মোচনে গড়িমসি, এসপি-কে ডেপুটেশন এলাকাবাসীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১৯ আগস্ট৷৷ শনিবার সকাল এগারটা নাগাদ বিশ্রামগঞ্জস্থিত এসপি অফিসে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল বাবুল মিঞার মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং বাবুল মিঞার প্রথম স্ত্রীর মেয়ে রুজিনা আফরোজ সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য ডেপুটেশান দিয়েছে৷ গত ২৭ জুলাই সকালে বাবুল মিঞা ও তার স্ত্রী জেসমিনয়ারা বেগমের সঙ্গে প্রচন্ড ঝগড়া হয়৷ ঐদিন বিকালে জেসমিনয়ারার মামাতু ভাই মানিক মিঞার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে তার আপন ভাই মুরশেদ আলমকে নিয়ে আসে৷ ঐদিন আনুমানিক পাঁচটা নাগাদ খুরশেদ আলম এলাকায় মাফিয়া সিহাবে পরিচিত টিটন মিঞাকে নিয়ে বাবুল মিঞার বাড়ীতে দেখতে পায়, বাবুল মিঞার ১৪ বছরে মেয়ে রুজিনা আফরোজ৷ ২৮ জুলাই জেসমিনয়ারা বেগম স্বামী বাবুল মিঞাকে বলে সে যেন বাড়িতে থাকে, তিনি ভাইকে নিয়ে আসবে৷ এইকথা বলে দুই পুত্র সন্তানকে নিয়ে বেড়িয়ে যায় বাড়ি থেকে৷ রাত আনুমানিক ১১টায় বাবুল মিঞার ঝুলন্ত মৃতদেহ ঘনিয়ামারায় নিজ বাড়ির দক্ষিণ ঘরে দেখতে পায়৷ এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবুল মিঞার বৃদ্ধ পিতা ইউনুছ মিঞা ও তার স্ত্রী দুজনে বহু মামলায় আসামী জয়নাল মিঞার পাশে দেখতে পাওয়া যায় জেসমিনয়ারা বেগমকে৷ যদিও জেসমিনয়ারা বেগম ১৬ আগস্ট আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান৷ তবে এখন নিরাপত্তার প্রশ্ণ উঠেছে৷ মৃত বাবুল মিঞার স্ত্রী জেসমিনয়ারা এবং তার সহযোগিরা বাবুল মিঞার কন্যা রুজিনা এবং পুত্র রাবিব হাসানকে সুকল থেকে আসা যাওয়ার পথে অপহরণ করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ উক্ত মামলার বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করতে শুধু একদিন এসেছিল এবং মামলায় অপর আসামী মানিক মিঞা এলাকায় থাকা সত্বেও পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না৷ এ বিষয়ে মামলায় সুষ্ঠু তদন্তক্রমে ইউনুছ মিঞার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য শনিবার বিশ্রমাগঞ্জ এসপি সুদীপ্ত দাসের কাছে ডেপুটেশান প্রদান করেছে এলাকার লোকজন৷ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে এসপি  সুদীপ্ত দাসের নিকট প্রায় ১ ঘন্টা কথা বলেছেন ঘনিয়ামারার নেহালচন্দ্র নগরের এলাকাবাসীরা৷ অভিযোগের ভিত্তিতে যে ডেপুটেশান প্রদান করা হয়েছে তা সুষ্ট ভাবে বিচার বিবেচনা করে তদন্ত করবে বলে আশ্বাস দেন বাবুল মিঞার পরিবারকে৷