ফের উদয়পুরে মাতাবাড়ির দীঘিতে মাছের মড়ক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ আগষ্ট৷৷ ফের উদয়পুরের ত্রিপুরেশ্বরী মাতাবাড়ির কল্যাণ সাগর দীঘিতে শুরু হয়েছে মাছের মড়ক৷ গত কয়েক দিনে মাতাবাড়ির দিঘিতে তিনটি মাছের মৃত্যু ঘটেছে৷ যদিও বিষয়টি গোপন র াখার চেষ্টা করছে প্রশাসন৷ তাই বিষয়টি সম্পর্কে কেউই বিস্তারিত জানে না, বা কাউকে জানানো হয়নি মাছের মৃত্যুর সংবাদ৷ শুধু যাকে দিয়ে সমাধি দেওয়া হবে তাকেই খবর দেওয়া  হয়৷ শনিবারও একটি মাছের মৃত্যু হয়৷ এক পূণ্যার্থী মৃত মাছটিকে দেখে জল থেকে তুলে আনেন৷ আর যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে তখন মাছটিকে সমাধিস্থ করতে আসে তখন মাতাবাড়ির কর্মী সমীর দেবনাথ৷ সমীর দেবনাথ জানান, গত কয়েক দিনে তিনটি মাছ মারা গেছে৷ জল দূষণের ফলেই সে মাছের মৃত্যু হচ্ছে তা পরিস্কার৷ অথচ মাতাবাড়ি দিঘির জল দূষণ মুক্ত করার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করা হচ্ছে কাগজে কলমে৷ ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে এর দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার৷ ত্রিপুরার মহারাজাদের শাসনামলে উদয়পুর ত্রিপুরার রাজধানী ছিল৷ পরে তা আগলতলাতে স্থানান্তরিত করা হয়৷ সে সময় এর নাম ছিল রাঙ্গামাটি৷ মহারাজার নামানুসারে এর আরেকটি নাম ছিল রাধাকিশোরপুর৷ ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির উদয়পুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মন্দিরটি অবস্থিত৷ মহারাজা ধন্যমাণিক্য ১৫০১ সালে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ মা কালীকে মাতা ত্রিপুরেশ্বরী রূপে এই মন্দিরে পূজা দেওয়া হয়৷ হিন্দুদের পবিত্র ৫১ টি পীঠের একটি মনে করা হয় এই মন্দিরটিকে৷ প্রতি বছর দীপাবলি ও কালী পূজায় মন্দির প্রাঙ্গণে মেলা বসে৷ সে সময় বহু পর্যটক ও দর্শনাথীরা এখানে আসেন৷ মন্দিরে পাশে বিশাল দীঘি রয়েছে৷ এই দীঘিতে রয়েছে দূর্লভ প্রজাতির কিছু কচ্ছপ ও বিভিন্ন ধরনের বিশাল আকারের মাছ৷ যারা পূন্যারথিদের কাছ থেকে সরাসরি খাবার নিয়ে যায়৷ এই জলাশয়ে মাছ শিকার নিষিদ্ধ৷ গত প্রায় ৫ বছর ধরে বাস্তুতন্ত্রের সংকট দেখা দেওয়ার এদের স্বাভাবিক সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে না এবং প্রায়ই কচ্ছপ ও মাছের মৃত্যু হচ্ছে৷