লালবাগ, ৫ আগস্ট (হি.স.) : পণের দাবিতে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পুতে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে । মৃতের নাম দিলরুবা বিবি ওরফে সহাগি বিবি (২০) ।
শুক্রবার গভী্র রাতে ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদ থানার ছোট বটতলা এলাকায় । শনিবার মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে পাঠাই । ঘটনার পর মৃতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক এ খবর জানিয়ে থানার আই সি আশিস দেব বলেন , ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । তবে এ ব্যপারে এখন পর্যন্ত থানাই কোনও অভিযোগ জমা হয় নি । এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেয় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দেয় । পুলিশ সুত্র জানা গিয়েছে , ভগবলগোলা থানার কাশীপুরের বাসিন্দা সহাগি বিবির সঙ্গে সমন্ধ করে বিয়ে হয় মুর্শিদাবাদ থানার ছোট বটতলা গ্রামের বাসিন্দা পেশাই প্লাস্টিক বাসন পত্রের ফেরিওয়ালা সরিফুদ্দিন শেখের । বর পন হিসেবে নগদ ৩০ হাজার টাকা, ভরি চারেক সোনার গয়না এবং আসবাবপত্র দেওয়া হয় । জীবিকার টানে স্বামী বাইরে থাকলেও বছর দেড়েকের এই দাম্পত্ত জীবনে সুখ পায়নি সহাগি । অভিযোগ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত । স্বামীর অবর্তমানে সব কিছু করে মুখ বুজে সহ্য করত ওই গৃহবধূ ।
সম্প্রতি সহাগি কে বাবার বাড়ি থেকে মোটা টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে । কিন্তু দিন মজুর বাবার কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিয়ে আসতে অস্বিকার করে সহাগি, এতেয় সরিফুদ্দিনের বাড়ির লোকজন ক্ষেপে ওঠে ওই গৃহবধূর উপর । এবং তাকে শ্বাসেরাধ করে প্রানে মারা হয় বলে অভিযোগ । এই ব্যাপারে মৃতের ভাই নাসিরুদ্দিন শেখ বলেন , আমরা প্রতিবেশীর ফোনে জানতে পারি দিদিকে প্রানে মারা হয়েছে । দিদির শ্বশুর বাড়ি গিয়ে দেখি দিদি লুটিয়ে পড়ে আছে , বাড়িতে কেও নেই । ওর গলাতে কাল দাগ রয়েছে, হাতের আঙুল রাক্তাক্ত । ঘরের মধ্যে কবর খুড়ে রাখা । এর থেকে অনুমান প্রানে মেরে ওকে ওরা পুতে দিতে চেয়েছিল । কিন্তু সেই সুযোগ তারা পায়নি । এদিকে মৃতের কয়েক জন প্রতিবেশী জানান , ভোর থেকেই বাড়িতে লোকজনের আনাগোনা দেখতে না পেয়ে উকি দিলে নজরে আসে সুহাগি পড়ে আছে । পড়ে ওর বাবার বাড়িতে আমরা খোঁজ দিই্। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত থানাই কোনও অভিযোগ না হলেও মৃতের বাবা হারুন শেখ বলেন , জামাই বাইরে থাকে সেই সুযোগে মেয়ের শ্বশুড় মনিরুদ্দিন শেখ, শাশুড়ি পারুলা বিবি, দেওর বেল্লাল শেখ এবং ননদ মিরা খাতুন মেয়েকে শ্বাসরোধ করে প্রানে মারে । মেয়ের দেহ ময়নাতদন্ত হয়ে গেলেই থানায় ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব । ওদের শাস্তি না হলে মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে না ।