সোমবার দেশের চতুর্দশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সব রাজ্যে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ

নয়াদিল্লি-কলকাতা, ১৬ জুলাই (হি.স.) : সোমবার দেশের চতুর্দশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন । রাইসিনা হিলসের নতুন বাসিন্দার নাম ব্যালটবন্দি হয়ে যাবে আগামীকাল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সব রাজ্যে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। দিল্লির পার্লামেন্ট ভবন ও রাজ্যের বিধানসভাগুলিতে লোকসভা, রাজ্যসভা ও বিধানসভার সদস্যরা ভোট দিয়ে দেশের চতুর্দশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন।সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ফল জানা যাবে ২০ জুলাই। সংসদ ভবনে হবে ভোট গণনা। প্রার্থীর নির্বাচিত ব্যক্তির সামনেই ভোটগণনা হবে।বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ জুলাই। নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি শপথ নেবেন ২৫ জুলাই।
দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে রবিবার নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, ভোটিং কক্ষে নিজেদের পেন নিয়ে ঢুকতে পারবেন না ভোটাররা। পরিবর্তে, কমিশনের দেওয়া বিশেষ ‘মার্কার’ পেন ব্যবহার করেই ভোট দিতে হবে। হরিয়ানা রাজ্যসভা নির্বাচনে কালি-বিতর্কের পর থেকে এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে সতর্ক কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়, রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিশেষ কালি ব্যবহার করা হবে।
এবার রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী দুজন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ। এর আগে বিহারের রাজ্যপাল ছিলেন তিনি। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-র প্রার্থী মীরা কুমার। কংগ্রেস শাসনকালে তিনি লোকসভার স্পিকার ছিলেন।শাসক শিবিরের প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দের জয় প্রায় নিশ্চিত।
রাষ্ট্রপতি ভোট হবে ব্যালট পেপারে। সবুজ রঙের পেপার থাকছে সাংসদদের জন্য। গোলাপি পেপার বিধায়কদের জন্য। সাংসদদের ব্যালট পেপারে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় লেখা । বিধায়কদের ব্যালট পেপারে ইংরেজি ও সেই রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা থাকছে। ভোট বৈধ করতে পছন্দের নামের পাশে টিক দিতে হবে। তার জন্য রয়েছে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কলম। ভোটসংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা। সবচেয়ে কম সিকিম।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভোট দেবেন ২৯৪জন বিধায়ক। ৩১জন লোকসভার সাংসদ এবং ১১জন রাজ্যসভার সদস্য ভোট দেবেন। এ ছাড়া কলকাতায় চিকিত্সা করতে আসা ত্রিপুরার স্পিকারও এ রাজ্যের বিধানসভায় ভোট দেবেন বলে খবর। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন না কুণাল ঘোষ। আইনি বাধায় ভোট দিতে পারবেন না তিনি। সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ বর্তমানে জামিনে মুক্ত। কিন্তু, আদালতের নির্দেশে নারকেলডাঙা থানার বাইরে যেতে পারবেন না। বিধানসভা, নারকেলডাঙা থানার বাইরে তাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। ভোটের ব্যালট পেপার এবং নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কলম ইতিমধ্যেই শহরে পৌছে গিয়েছে। চলে এসেছেন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকও।
এর আগে ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে পরপর দুবার রাজেন্দ্র প্রসাদ রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন। তারপর আর কেউ দুবার রাষ্ট্রপতি থাকেননি। ১৯৭৭ সালে কোনওরকম প্রতিযোগিতা ছাড়াই জয়ী হন নীলম সঞ্জীব রেড্ডি। কারণ, মোট ৩৭জনের মধ্যে ৩৬জন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর আবেদন বাতিল হয়েছিল।-