আগরতলা, ৮ জুলাই (হিঃস)৷৷ কে নাগরাজ এবং জয়দেব নায়েক রাজ্য পুলিশের দুই আইপিএস অফিসার৷ যাদের উভয়ের বিরুেদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এবং সিবিআই তদন্ত চলছে৷ নাগরাজের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিআরপিএফ-এ চাকুরী প্রদানের নামে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ বিভাগীয় তদন্ত চলছে এবং আয়ের থেকে ৫০০ গুণ বেশী সম্পত্তি থাকার অভিযোগে হায়দ্রাবাদের বিশেষ আদালতে মামলা বিচারাধীন৷ যে মামলা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে৷ পুলিশ প্রশালনের একটি সূত্রে দাবী এই মামলায় কে নাগরাজের সাঁজা প্রায় নিশ্চিত৷ অপরদিকে জয়দেব নায়েকের বিরুদ্ধে ওড়িশায় ডেপুটেশানে থাকাকালে সেই সরকারের ৮৮ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ অভিযোগ রয়েছে৷ যে মামলায় জয়দেব নায়েক কিছুদিন বিচারাধীন বন্দি ছিলেন৷ বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত৷ যতদূর জানা গেছে সেই মামলা র তদন্দ এখনও শেষ হয়নি এবং আদালতে চার্জশিট জমা পনেনি৷ এমনকি বিচার পর্ব এখনও শুরু হয়নি৷ কে নাগরাজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র তথা মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত পছন্দের লোক তথা ইয়েস-ম্যান হওয়ার সুবাদে রাজ্য সরার তাকে আইজি থেকে এডিজি এবং এডিজি থেকে রাজ্য পুলিশের সর্র্বেচ্চ পদ ডিজি পদে পদোন্নতি দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ৷ তার বিরুদ্ধে সিবিআই আদালতে প্রমাণ সহ চার্জশিট দেওয়া সত্ত্বেও ত্রিপুরা সরকার তাকে একবারের জন্যও চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেনি৷ কিন্তু একই যাত্রায় পৃথক ফল দেখা গেল ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর তথা রাজ্য পুলিশের আইজি এডমিনিস্ট্রেশন জয়দেব নায়েকের ক্ষেত্রে৷ নায়েকের বিরুদ্ধে ওড়িশায় মামলা হয়েছে৷ নায়েক গ্রেপ্তার হয়েছেন৷ গ্রেপ্তার হলে সাময়িক বরখাস্ত হবেন সেটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সরকারী নিয়ম অনুযায়ী তার চাকরি ফিরে পাবার কথা এবং তাকে পুরানো অবস্থায় চাকরি করতে দিতে হবে৷ কারণ জয়দেব নায়েক সরাসরি আইপিএস অফিসার৷ যাই হউক ওড়িশায় আদালত থেকে জয়দেব নায়েক জামিন পেয়ে ত্রিপুরায় ফিরে আসেন৷ পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্র্তদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার তথা স্বরাষ্ট্র দফতর জয়দেব নায়েককে চাকুরীতে যোগদান করতে দেয়নি৷ কারণ নায়েক মুখ্যমন্ত্রীর একদম অপছন্দের৷ তিনি ফিরে যান৷ বর্তমানে তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে৷
2017-07-09

