আগরতলা, ১৯ মে (হিঃস)৷৷ কতিপয় আধিকারিকের দৌলতে সরকারী প্রকল্পে অর্থ রেখেই নিস্তার পাচ্ছেন না সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ৷ অসংগঠিত শ্রমিক সহায়িকা প্রকল্পে টাকা জমা রেখে প্রতারিত হতে হলেন এক শ্রমিক৷ হতদরিদ্র ওই বৃদ্ধ শ্রমিক ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে ঘুরলেও কোথাও কোন আশার বানী শুনতে পাচ্ছেন না৷ রাজ্যের হতদরিদ্র মানুষদের সুবিধার্থে সরকার শ্রম দফতরের মাধ্যমে অসংঘটিত শ্রমিক সহায়িকা প্রকল্প চালু করে৷ ওই প্রকল্পে শ্রমিকরা প্রতি মাসে যে পরিমাণে টাকা জমা করবে সরকারের পক্ষ থেকে সমপরিমাণ টাকা সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের নামে জমা করার কথা৷ অমপুর ব্লকের অধীন রাংকাং গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং সুকান্ত কলোনির বাসিন্দা প্রফুল্ল মন্ডল ওই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেন৷ ২০০৩ সাল থেকে প্রফুল্ল মন্ডল ও অসংঘটিত শ্রমিক সহায়িকাে প্রকল্পে টাকা জমা রাখতে শুরু করেন৷ে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতি মাসে ২৫ টাকা করে তিনি রাংকাং গ্রাম পঞ্চায়েতে জমা করেন৷ এছাড়া ২০১৪ মে থেকে ২০১৬ মার্চ পর্যন্ত প্রফুল্ল বাবু প্রতি মাসে পঞ্চাশ টাকা করে মোট ১১৫০ টাকা জমাে করেন৷ টাকাে জমা করার সবকটিে রসিদ উনার কাছেে আছে৷ বিগত ১৩ বছরে প্রফুল্ল বাবু মোট চার হাজার দুশোে পঁচাত্তর টাকা জমা করেন৷ কিন্তু পরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই প্রকল্পে টাকা জমা করা সম্ভব হচ্ছিলো না৷ ফলে গত ২০১৬ সালের ৯ ই জুন অসংগঠিত শ্রমিক সহায়িকা প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য অমরপুর ব্লকের বিডিওর কাছে আবেদন করেন৷ কিন্তু প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও আজ পর্যন্ত একটি টাকাও পাননি বয়স্ক শ্রমিক প্রফুল্ল মন্ডল৷ এব্যাপারে বিধায়ক পরিমল দেবনাথকে জানালে তিনি প্রফুল্লে মন্ডলকে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন৷ কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণেে প্রফুল্ল মন্ডলের পক্ষে ওই টাকার জন্য আর দৌড়ঝাঁপ করা সম্ভব হয়নি৷ আজও তার সমস্যার সুরাহা হয়নি বলে প্রফুল্ল মন্ডলের অভিযোগ৷
2017-05-20