নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ১৪ মে৷৷ কৈলাসহরের ইরানীর খাওরাবিল এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ তিনজকে গ্রেপ্তার করেছে অভিযোগের ভিত্তিতে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে৷
সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৈলাসহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে ইরানী থানার অধীন খাওরাবিল গ্রাম৷ রবিবার দুপুরে গ্রামের তিন নং ওয়ার্ডের অধীন সোনাপুর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে৷ সেখানকার বাসিন্দা আজহার মহম্মদ ও তার স্ত্রী জাবেদা খাতুন৷ আজহার মহম্মদ আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন৷ জাবেদা খাতুন আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগে মারা যান৷ আজহারের সাত মেয়ে৷ প্রত্যেকেই বিবাহিত৷ জাবেদা খাতুন মারা যাওয়ার দুই বছর াাগে গ্রামেরই আয়দব আলী থেকে ৪৫ শতক জায়গা কিনেছিলেন৷ জায়গা কেনার দুই বছর পর তিনি মারা যান৷ দলিল, পরচা বের করে সুরফান আলী দাবী করে যে এই জায়গার মালিক তিনি৷
জায়গার সীমানার পাশেই সুরফানের বাড়ী৷ তারপর জাবেদার মেয়ে আদালতে মামলা করেন৷ গত এক সপ্তাহ আগে আদালত রায় দেয় যে, এই ৪৫ শতক জায়গার মালিক প্রয়াতা জাবেদা খাতুনই৷ বর্তমানে জাবেদার সাত মেয়েই তার ওয়ারিশ৷ আদালতের রায়ের শনিবার জাবেদার মেয়েরা আদালত থেকে সমস্ত নথি পায়৷ আদালতের রায়ের কপি পাবার পরে রবিবার দুপুরে জাবেদার মেয়েরা এবং তাদের স্বামীরা জায়গা পরিস্কার করতে যায়৷ সবাই মিলে জায়গা পরিস্কার করছিল৷ তখন হঠাৎ সুরফান আলী ও তার ভাই সুলেমান আলী ও সুরফানের স্ত্রী সাফিয়া বেগন ইট দিয়ে ছিল ছুঁড়তে থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গেই জাবেদার মেয়ের জামাই ইরানী থানায় খবর দেয়৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে৷ পুলিশের সামনেই জাবেদা খাতুনের এক মেয়ের জামাই সুলতান আলীর মাথায় দা দিয়ে আঘাত করে সুরফান আলি ও তার স্ত্রী৷ শুধু তাই নয় সাফিয়া বেগন ও সুরকানের ভাই সুলেমান আলী শাবল দিয়ে বা হাতে আঘাত করে জাবেদা খাতুনের আরেক মেয়ের ছেলেকে৷ তার নাম আক্রাম আলী৷ আক্রাম কৈলাসহর কলেজের ছাত্র৷ হামলায় গুরুতর আহত হন আক্রাম আলী ও সুলতান আলী৷ আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করেছে৷ আটক করা হয়েছে হামলাকারী সুরকান, সাপিয়া এবং সুলেমানকে৷ তিনজনকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়৷ অন্যত্মিদকে আহত দুইজনকে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তাদের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় আগরতলায় জি বি হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ এই ঘটনায় ইরানী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে৷ মামলার নম্বর ৩২/১৭৷ মামলাটি হয়েছে ইউএস ৪৪৭, ৩২৬, ৩৪ আইপিসি মূলে৷ পুলিশ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে৷
2017-05-15
