লখনউ, ১৪ মে (হি.স): কার্পেট ও শাল বিক্রেতা সেজে নেপাল থেকে ভারতে প্রবেশের পথে গ্রেফতার হিজবুল জঙ্গি। উত্তরপ্রদেশের সোনৌলি অঞ্চলে ভারত-নেপাল সীমান্তে সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানদের জেরায় ধরা পড়ল হিজবুল জঙ্গি। ভারতে নাশকতা চালানোই তার উদ্দেশ্য ছিল বলে জেরায় জানিয়েছে ওই জঙ্গি । ধৃত জঙ্গির নাম নাসির আহমেদ। জেরায় জানিয়েছে, পাকিস্তানের ফয়সলাবাদ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর শারজা হয়ে বুধবার সে কাঠমান্ডু এসে পৌঁছয়। এরপর একটি বাসে চড়ে ভারত সীমান্তে আসে নাসির।
বছর চৌত্রিশের ওই জঙ্গি জম্মু–কাশ্মীরের রামবান জেলার ডোলগাম গ্রামের বাসিন্দা। ২০০২ সাল থেকেই বানিহালে হিজবুল জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখায় সে। বানিহালে সন্ত্রাস চালানোর জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল নাসিরকে। ২০০৩–এ বানিহালে আরও ২৩ হিজবুল সহযোগীর সঙ্গে দেশ ছাড়ে নাসির। প্রায় ৩ মাস পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করার জন্য একে–৪৭, একে–৫৬, এসএলআর, রকেট লঞ্চার, অ্যাসল্ট রাইফেল এবং গ্রেনেড চালনার ট্রেনিং নেয়। সেখান থেকে একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত হয় নাসির।
ভারতে নাশকতা চালানোর জন্য ১০ মে পাকিস্তানের ফৈসলাবাদ এবং সারজা হয়ে কাঠমাণ্ডু পৌঁছয় নাসির। সেখানে তার সহযোগী ছিল মহম্মদ শাফি। কাঠমাণ্ডু পৌঁছেই আলাদা হয়ে যায় তারা। কাঠমাণ্ডু থেকে বাসে ভারত সীমান্তে পৌঁছেয়। কার্পেট ও শাল বিক্রেতার ছন্মবেশে থাকলেও নাসিরের পরিচয় পত্র দেখতে চান সীমান্তে প্রহরায় থাকা এসএসবি জওয়ানরা। কিন্তু সন্তোষজনক কোনও পরিচয় পত্র দেখাতে না পারায় নাসিরের তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা। তখনই উদ্ধার হয় পাকিস্তানি পাসপোর্ট এবং একটি পাকিস্তানি পরিচয় পত্র উদ্ধার হয়। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় হিজবুল জঙ্গি নাসির আহমেদকে। ভারতে তার হ্যান্ডলার রয়েছে। তারাই নাসিরকে টাকা দেয়। নাসিরকে জেরা করে সেই হ্যান্ডলারের খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা।