নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৩০ এপ্রিল৷৷ ভাই ভাইয়ের শত্রু৷ বাবা ছেলের শত্রু৷ স্ত্রী স্বামীর শত্রু৷ এমন বহু ঘটনা প্রকাশ্যে আসে৷ এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে আসল উত্তর জেলার চুড়াইবাড়ী থানার অধীন উত্তর ফুলবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় নং ওয়ার্ডে৷ প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩১শে সেপ্ঢেম্বর প্রেমতলা ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ণ এলাকা থেকে অপহৃত হয়েছিলেন হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান৷ পুলিশ তিনদিন পর অবশ্য তাকে উদ্ধারও করেছিল৷ অপহৃতদের হাত থেকে ফিরে এসে লুৎফুর এই ঘটনার জন দায়ি করেছিলেন তার আপন ভাই হারিজ আলীকে৷ সেই ঘটনায় আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলাও চলছে৷ সেই মোতাবেক হারিছ আলী তার কর্মস্থল থেকে শুক্রবার রাতে বাড়িতে আসে কোর্টে হাজিরা দিতে৷ ভোর রাতে সে প্রাকৃতিক কাজের জন্য ঘর থেকে বেরোতেই হারিছের উপর হামলা চায় কয়েকজন দুসৃকতী৷ তার মুখে কাপড় বেঁধে বেধরক মারধর শুরু করে৷ লোহার রড, দা ও লাঠি দিয়ে প্রচন্ড মারধর করা হয় বলে অভিযোগ৷ এমনকি একটি গাড়িতে করে তাকে অনত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করে৷
কিন্তু, পরে জানা গিয়েছে, দুসৃকতিরা আর কেউ নয়, হারিছ আলীর ভাই আকলিছ আলী এবং মকলিছ আলী সহ তাদের সাকরেদ৷ এটা হারিছ আলির বক্তব্য৷ সে জানিয়েছে, বলপূর্বক তাকে নিজ বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার দুটি মোবাইল সেট এবং নগদ এক লক্ষ টাকা ছিনতাই করা হয়েছে৷ ভোরের আলো ফুটতেই প্রাণে বেঁচে যায় সে৷ খবর পেয়ে ছুটে যায় পূর্বে অবহৃত হ্যয়া তার ভাই লুৎফুর রহমান৷ সে নাকি এসে বিষয়টি মিটিয়ে দেবে বলে গুরুতর আহত হারিছ আলীর কাছ থেকে একটি কাগদের মধ্যে দস্তখত করায়৷ তখন সে কিছু না বুঝেই কাগজে সেই করে নেয়৷ এদিকে হারিছ আলীর বক্তব্য পূর্বের ঘটনাকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে লুৎফুর রহমান নাকি এটা করিয়েছে৷ যাতে সে পরদিন কোর্টে হাজিরা দিতে না পারে৷ অপরদিকে লুৎফুর রহমানের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে৷ কিন্তু, তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়৷ বর্তমানে আহত হারিছ মিয়া কদমতলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ এমর্মে চুড়াইবাড়ি থানায় একটি মামলা হয়েছে৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা পলাতক৷ ভাই ভাইয়ের মধ্যে এরকম লুটপাট, অপহরণ সংক্রান্ত ঘটনায় গোটা এলাকায় রীতিমতো ছিঃছিঃ রব৷