বাদীকে পাওনা টাকা মিটিয়ে না দেয়ায় জেলা শাসকের অফিসের আসবাবপত্র ক্রোক করার নির্দেশ কোর্টের

আগলরতলা, ২৭ এপ্রিল(হিঃসঃ)৷৷ ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে লিচুবাগানে ত্রিপুরার রাজ পরিবারের এক সদস্যের জমি দখল

জমি সংক্রান্ত মামলায় বাদীকে পাওনা গন্ডা মিটিয়ে না দেওয়ায় পশ্চিম জেলা শাসকের অফিসের আসবাবপত্র ক্রোক করতে যান আদালতের কর্মী ও অফিসাররা৷ বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

নেওয়া এবং কেনও ক্ষতিপূরণ না দিয়ে তা আবার হস্তান্তর করার অভিযোগ উঠেছে৷ আদালতের আদেশ অমান্য করে ক্ষতিপূরণের টাকা মিটিয়ে না দেওয়ায় আদালতের নির্দেশে পুলিশ বৃহস্পতিবার জেলাশাসক মিলিন্দ রামতেকের চেয়ার টেবিল সহ যাবতীয় সামগ্রী তুলে আনাতে যায়৷ জমির প্রকৃত মালিকের আইনজীবী এডভোকেট রাখালরাজ দত্ত বিষয়টি জানিয়ে বলেন, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা জেলা শাসকের তত্তাবধানে ১৯৮৩ সালে লেচুবাগানে সেনাবাহিনী প্রধান কার্যালয় নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল৷ জমিটি ছিল মহারাজ কুমার সহদেব বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাদাহূর দেববর্মার৷ মহারাজ বিক্রম  কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের ৪ কানি জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়৷ হাইকোর্টের দুইবার উত্থাপিত মামলা এবং সুপ্রিমকোর্টে ১ বার মালাটি উঠে৷ আদালত জমি বাবদ অর্থ রাজ্য সরকারকে মিটিয়ে দেবার নির্দেশ দেয়৷ কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে বলছে এই টাকা রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ কিন্তু জেলা প্রশাসন ক্ষতিপূরণ প্রদান না করায় সমস্যাটি সমালোচনামূলক হয়ে উঠেছে৷ যদিও আদালতে ভূমি মূল্য দেখতে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে ক্ষতিপূরণের অথের পরিমাণও সময় সময় বাড়ানো হয়েছিল৷ তিনি বলেন, জমি মূল্য প্রায় ২ কোটিে টাকা কম হবেনা৷ তবে আদালত ৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূডণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়৷ রাজ্য সরকার এই ৬ লাখ টাকাও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য অসমর্থ হয়৷ এর পরেই নির্দিষ্ট সময় সীমা দিয়ে আর্থ পরিশোধ না করলে জেলাশাসকের চেয়ার টেবিল সহ যাবতীয় সামগ্রী তুলে আনার নির্দেস দেয় আদালত৷ যদিও পুলিশ সহ আইনজীবী আজ জেলাশাসক কার্যালয়ে গিয়ে হাজির হলে সদর মহকুমা শাসক আগামী শনিবার সকাল সারে ১১টার মধ্যে আর্থ মিটিয়ে দেবার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷