ধলেশ্বরে বিস্তর পরিমাণ বাতিল নোট উদ্ধার ড্রেনের জলে, চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ এপ্রিল৷৷ রাজধানী আগরতলা শহরের ধলেশ্বর ১১ নম্বর রোড এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরের একটু আগে প্রচুর সংখ্যায় বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট উদ্ধার হয়েছে৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে কালোধনের মালিকরা বুধবার সন্ধ্যারাতে বৃষ্টির সময় এই নোটের বান্ডিলগুলি ড্রেনে ফেলে দিয়েছে৷ আর জলে ভেসে ভেসে যাচ্ছিল এই নোটগুলি৷
বৃহস্পতিবার দুপুরের একটু আগে ধলেশ্বর ১১ নম্বর রোডের শেষ মাথায় রাস্তার উপর প্রচুর সংখ্যায় বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট পড়ে থাকতে দেখেন৷ জলকাদায় একাকার হয়ে ছিল নোটগুলি৷ এলাকার জনগণ নোটগুলি কুড়িয়ে নিয়েছে৷ এই ব্যপারে এলাকার লোকজন আগরতলা পূর্ব থানায় খবর দেয়৷ কিন্তু, আশ্চর্যের বিষয় হল খবর পাওয়ার প্রায় পৌণে এক ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে৷ ততক্ষণে এলাকার লোকজন ঐ নোটগুলি কুড়িয়ে নিয়ে পরিস্কার করে রৌদে শুকাতে দেয়৷ পুলিশ যখন যায় তখন আর কোন নোট রাস্তায় পড়ে নেই৷ এলাকার লোকজনের মারফত খবর নিয়ে পুলিশ থানায় চলে যায়৷ এলাকাবাসীর ধারণা, কালোধনের মালিকরা এই টাকা ঘরের মধ্যেই মজুত করে রেখেছিল৷ নোট বাতিল হওয়ার পর আর কোন সুযোগ পায়নি টাকাগুলি সরিয়ে ফেলার৷ তাই বৃষ্টির জলেই ভাসিয়ে দিয়ে নিজেদের অপরাধকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে৷ প্রসঙ্গত, রাজধানী আগরতলা শহরের বহু প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর কাছে বিপুল পরিমানে কালোধন রয়েছে৷ এর মধ্যে বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার বিস্তর পরিমাণ নোটও রয়েছে৷ এই ব্যপারে আয়কর বিভাগের নীরব ভূমিকা নিয়েও জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে৷ অভিযোগ উঠেছে, শাসক দলের ছত্রছায়ায় থেকে বহু সরকারী কর্মচারী ও শীর্ষস্থানীয় আধিকারীকও কালোধনের মজুত ভান্ডার গড়ে তুলেছে৷ নোটবন্দির পর রাজ্যে আয়কর বিভাগের তেমন কোন হানাদারী নজরে আসেনি৷ উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে উদয়পুরেও ড্রেনের মধ্যে বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট পড়ে থাকতে মিলেছে৷