পাঁচ জনের মুখে খাবার দিতে একদিনের সন্তানকে বিক্রি করলেন দম্পতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৮ এপ্রিল৷৷ যেখানে দারিদ্রতা সেখানেই অনাহারে গ্লানি৷ অনাহারের যন্ত্রণায় কারত অবুঝ

অভুক্ত সন্তানদের নিয়ে পোষারঞ্জন দেববর্মার স্ত্রী বীনমালা দেববর্মা৷ মুঙ্গিয়াকামীর রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছগ্রাম থেকে তোলা নিজস্ব ছবি৷

সরল মানুষ কি করবে৷ যেখানে সরকারী সাহায্য বলতে শুধু প্রতিক্ষা আর প্রতিক্ষা, সেখানে দাড়িয়ে একটা মানুষ কি করবে৷ যদিও আইনীভাবে দন্ডনীয়৷ তার পরেও বাধ্য হলেন, উপজাতি দাম্পতি৷ নিজেদের বাচানোর জন্যে যদি নিজের গর্ভজাত ছেলেকে বিক্রি করে বাচার একটা সুযোগ হয় তাতেই ভূল কিসের৷ তাই করল সহজ সরল উপজাতি একটি পরিবার৷ ঘটনাটি তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছ গ্রামে৷ ৫০০০ টাকার বিনিময়ে পরিবারের পাঁচজনের মুখে অন্ন তোলে দেবার জন্যে একদিনের সন্তানকে বিক্রি করে দিলেন বাবা- মা৷
তেলিয়ামুড়া মহকুমা রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছ গ্রামে ২০০৩ সালে সরকারী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩০১ টি পরিবার এসে বসবাস করতে থাকেন৷ সেই সময় সরকারী ভাবে প্রতিশ্রুতিতে ছিলো স্বাভাবিক জীবন ধারনের জন্যে মৌলিক চাহিদার সব কিছু সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে৷ কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় গুচ্ছ গ্রামের বাসীন্দারা কতটুকু সুযোগ সুবিধা পেয়েছে তা রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছ গ্রামে পা না ফেললে বোঝা দায়৷ সরকারী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছ গ্রামে এসে ছিলেন পোষা রঞ্জন দেববর্মা৷ গুচ্ছ গ্রামে এসে বীনমালা দেববর্মার সাতে বিয়ে করেছিলেন পোষা রঞ্জন দেববর্মা৷ বিয়ের পর তিনটি সন্তানের জন্ম হয়৷ সেই সময়ও বনের বাঁশ কড়ুল ও লাকড়ী বিক্রি করে সংসার প্রতিপালন করতেন৷ তার পরেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে নুন আনতে পান্থা ফুরায় পোষা রঞ্জনের৷ তার পরেও যেন তেন ও চিকিৎসার জন্যে সন্তান বিক্রি করতে হবে৷ এমন আরো ঘটনা রাজ্যের মধ্যে রয়েছে সেগুলি প্রকাশ পায় না৷ পোষা রঞ্জন দেববর্মা ভিলেজ কমিটির নির্বাচিত সদস্যের কাছে আর্থিক ভাবে সাহায্য ও চেয়েছিল৷ কিন্তু এগিয়ে আসেনি কেউ৷ একটা বসত ঘরও চেয়েছিলে কিন্তু পায়নি৷