নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৩০ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্যের কৃষকরা সর্বস্বান্ত৷ উৎপাদিত ফসলের নায্য দাম বাজারে না পেয়ে মাথায় হাত৷ রাজ্যের পাশাপাশি কল্যাণপুর ব্লক এলাকগার প্রত্যেকটি গাঁওসভার কৃষকদের একই চিত্র৷ কারণ নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত৷
নোট বাতিলের জের৷ এই মরশুম কৃষকদের জন্য প্রিয় কারণ পুরো বছরের না হোক অন্তত অর্ধেক বছরের খোরাক উঠে যায় ফসল ফলিয়ে৷ কিন্তু এবার কৃষকদের মাথায় হাত৷ ফসল তো ভালোই ফলেছে৷ বাজারে দাম নেই৷ লাভ তো দূরের কথা বাজারে আনার পরিবহণ খরচটাও উঠছে না৷ কল্যাণপুর ব্লক এলাকার ঘিলাতলী, দ্বারিকাপুর, দুর্গাপুর দাউছড়া গ্রামের কৃষকেরা বুক বেঁধে আশায় বসেছিল৷ সংসারের ভরণপোষণ পরিবারের৷ ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার খরচ বহন করবে কৃষকরা সবজি ফসল বিক্রি করে৷ কিন্তু সবজির ফলল ভাল হলেও সঠিক দাম না পাওয়ায় মাথায় হাত কৃষক পরিবারগুলির৷ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ফলে কৃষকরা দিশেহারা৷ বাজারে খুচরোর পরিমাণ কম অপরদিকে ২০০০ টাকার নোট হাতে পেলেও সমস্যায় পড়তে হয়৷ ঠিক এই ভাবে পাইকারী কৃষকদের কাছ থেকে কম ধরে ফসল কিনতে চাইছেন৷ অনেক কৃষক ককম দরে বিক্রি করছেন আবার অনেকে ফেলে আসছেন৷ একটা সময় রাজ্যে বর্হিরাজ্যে তেলিয়ামুড়া মহকুমায় সবজি বিক্রি হত৷ বেশ সুনামও ছিল৷ বেগুন ৩৫ টাকা ২ টাকায় এসেছে, কফি ৩০ টাকা থেকে ১০ টাকা ঠিক একই রকম সব সবজি৷ দরকম অন্যান্য বছরের এমন সময়ে৷ কৃষকরা জানান ত্রিপুরায়ও বাকি নেই৷ একমাত্র কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের হটকারি সিদ্ধান্তের ফলে৷
2016-12-31