নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৭ ডিসেম্বর ৷৷ বন জঙ্গলে যারা বনের লতাপাতা কুড়িয়ে সংসারের খাবার জোগাড় করে তাদের কাছে বিজ্ঞান কি তার মানে বোঝা দুষ্কর৷ বর্তমান ত্রিপুরা রাজ্যের একাংশ প্রত্যন্ত গিরিতে গিরিবাসীদের অবস্থা ঠিক তাদের মত৷ যারা একমুঠো খাবারের জন্য সকাল সন্ধ্যায় জীবন তাদের বেলায় বিশুদ্ধ কি তা বোঝাটা বড়ই আশ্চর্য্যজনক৷ আর এমনই এক বাস্তব চিত্র উঠে এলো তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষ্ণপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্য ও সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়ার বিধায়ক নগরী থেকে৷
মুখ্যমন্ত্রীর স্বর্ণযুগে কেমন আছেন প্রত্যন্ত এলাকায়বাসবাসকারী গিরিবাসীরা৷ কোন নেতা বিধায়ক ও মন্ত্রী খবর রাখেন কিনা? মূলত যারা একদিন তাকেই নেতা বানিয়েছিলেন৷ পরে সে নেতা একদিন বিধায়ক কিংবা মন্ত্রী পদাধিকারে উজ্জ্বল হয়৷ সে কি বুঝতে পারে সে গিরিবাসীরা কি অবস্থায় নিজেদের জীবন প্রতিনিয়ত হ্রাসমুখী হচ্ছে৷ বিজ্ঞানযুগে কি এ ধরনের পরিস্থিতি হয়৷ সমালোচকদের মুখে মোটেই না৷ এধরনের বাস্তব চিত্র উঠে এলো স্বর্ণযুুগের ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক তথা মৎস্য ও সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়ার খাসতালুক কাকড়াছড়া এডিসি ভিলেজের হাজরাবাড়ি এলাকা থেকে৷ বর্তমানে হাজরাপাড়া এলাকায় কয়েকশো পরিবারের বসবাস৷ বেশিরভাগ লোকেরাই রিয়াং সম্প্রদায়ের৷ প্রত্যেকটি পরিবারই জুম চাষ কিংবা বনের লতাপাতা কুড়িয়ে আনার উপর নির্ভরশীল সংসারের ভরণপোষণ৷ বেশিরভাগ লোকেরাই টিপ সই ছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই৷ যে রাজ্যের মানুষ পরিশ্রুত পানীয় জল আর অপরিশ্রুত পানীয় জল আদতে কি তারা জানেন না৷ ফলে গর্তে জমানো জল হয়ত ঝরনার জল আটকে পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করতে হত না৷ বর্তমানে হাজরাবাড়ি এলাকায় বসবাসকারী গিরিবাসীদের মধ্যে এই শুখা মরশুম শুরু হতেই তীব্র পানীয় জলের সংকট দেখা দেয়৷ ওই এলাকার কয়েকশত মানুষের মধ্যে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে৷ পানীয় জলের নতুন উৎসের খঁুজে পাহাড়ে পাহাড়ে চষে বেড়াচ্ছে এক শ্রেণীর গিরিবাসীরা৷ কারণ আর কিছুদিন বাদে পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দেবে প্রতিটি বছরের মতো৷ তাই শুখা মরশুমের শুরু থেকেই কাকড়াছড়ার উপজাতি গিরিবাসীরা জলের নূতন উৎসের খোঁজে বের হয়৷ হাজরাবাড়ি এলাকায় সরকারি পানীয় জলের কৃত্রিম উৎস তৈরি করলেও, বর্তমানে উৎসগুলি বিকল হয়ে পরাতে তীব্র পানীয় জলের সংকটের মধ্যে দিন গুজরান করতে হচ্ছে গিরিবাসীদের৷ গিরিবাসীরা পানীয় জলের জন্য বর্তমানে ৫০০ ফুট খাদ থেকে জল সংগ্রহ করে যাচ্ছে৷ তাও আবার অপরিশ্রুত জল৷ এই জল পান করার ফলে জলবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গিরিবাসীরা৷
এলাকাবাসীদের মধ্যে থেকে জোরালো দাবি উঠেছে মুঙ্গিয়াকামী ব্লক প্রশাসন, কাকড়াছড়া ভিলেজ এলাকায় স্থায়ী পানীয় জলের ব্যবস্থা করার৷ এখন দেখার বিষয় পানীয় জলের সংকট দূরীকরণে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন৷
2016-12-28