কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি পাবেন না রাজ্যবাসী, পূর্বাভাস মৌসম বিভাগের

coldনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ ডিসেম্বর৷৷ কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি এইবার রাজ্যবাসী পাবেন না৷ মৌসম বিভাগ সূত্রে খবর, বাংলা বছরের পৌষ এবং মাঘ মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে গড়ে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গড়ে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে ঐ দুই মাস৷ শীতের আমেজ অগ্রহায়ণ থেকেই পেতে শুরু হত রাজ্যে৷ কিন্তু এবছর অগ্রহায়ণ মাসে শীতের দেখা নেই৷ প্রতিদিন সন্ধ্যা গড়ালে পারদ নামলেও ঠান্ডার অনুভূতি তেমন একটা মিলছে না৷ রাজ্যের পাহাড়ি জনপদে হিমেল হাওয়া বয়ে চললেও ঠান্ডা তেমনভাবে এখনো পড়েনি৷ রাতে অবশ্য কুয়াশা পড়তে দেখা যায়৷ কিন্তু ঠান্ডার অনুভূতি তেমন একটা হয় না৷
বাংলা বছরের পৌষ এবং মাঘ এই দুই মাস কনকনে ঠান্ডা পড়েছে বিগত বছরগুলিতে৷ কিন্তু এবার এর ব্যতিক্রম ঘটবে৷ মৌসম বিভাগের মতে, নিম্নচাপের কারণেই রাজ্যে শীতের প্রভাব এবছর তেমন একটা পড়বে না৷ ফলে, অন্যান্য বছরের মত এবছর ঠান্ডার কবলে কাবু হতে হবে না রাজ্যবাসীকে৷
বর্তমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গড়ে ১৬ডিগ্রির নীচে নামছেই না৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কখনো কখনো ৩০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাচ্ছে৷ মৌসম বিভাগ বলছে এবছর সমগ্র পূর্ব ভারত এবং পূর্বোত্তরে ঠান্ডার প্রভাব তেমনভাবে পড়বেনা৷
চিকিৎসকদের মতে, আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তন এই সময়ে বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও মহিলাদের নানান রোগে কাবু করবে৷ বিশেষ করে শিশুরা রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ উষ্ণায়নের কারণে, এমনিতেই গোটা বিশ্বে আবহাওয়ার তারতম্য দেখা যাচ্ছে৷ কিন্তু এবছর নিম্নচাপ ঠান্ডার পথে কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
মৌসম বিভাগের মতে, শীতের মরশুমে দিনের বেলায় গরম এবং রাতে ঠান্ডা অনুভব হবে৷ আবহাওয়ার এই তারতম্যের জেরে চিকিৎসক মহলও চিন্তা ব্যক্ত করেছেন৷ মৌসম বিভাগ জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে এবং ফেব্রুয়ারির শুরুতে মাঝারি বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে৷ তখন অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে৷ ফলে, এবার শীতের মরশুমে ঠান্ডার আমেজ একপ্রকার মিলবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *