নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ নভেম্বর৷৷ কাশ্মীর সীমান্তে পাক সেনাবাহিনীর পোতা ল্যান্ডমাইনে শহীদ রাজ্যের বীর জওয়ান

শম্ভু সাতমুড়ার কফিনবন্দি মৃতদেহ শুক্রবার রাজ্যে এসে পৌঁছায়৷ আগরতলা বিমানবন্দর থেকে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় তাঁর নিজ বাড়ি প্রতাপগড়ের সুভাষনগরে৷ মৃতদেহ এসে পৌঁছতেই তাঁর নিজ বাড়িতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে৷ বীর জওয়ান শম্ভু সাতমুড়ার গর্ভধারিনী মা বীণা দেবী পুত্রের কফিনবন্দি মৃতদেহ ঝাপটে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷ এই হৃদয় বিদারক দৃশ্য সত্যিই এলাকার বাতাসকে ভারী করে তুলে৷ অগণিত মানুষ ছুটে আসেন বীর জওয়ানের মরদেহে পুষ্পস্তবক দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে৷ পর্যটনমন্ত্রী রতন ভৌমিকও তার বাড়িতে গিয়ে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান৷ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সেখান থেকে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বটতলা মহাশ্মশান ঘাটে৷ যাবতীয় রীতিনীতি মেনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় মহাশ্মশানঘাটে৷ শ্মশানঘাটে অসংখ্য মানুষের ভিড় পরিলক্ষিত হয়৷ আরক্ষা প্রশাসনের কমকর্তারাও সেখানে তাঁর [vsw id=”rUN7jQJtbAE” source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”yes”]প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান৷ এদিন শহীদ বীর জওয়ানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, বিধায়ক রামু দাস, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি বিপ্লব দেব, সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক, বিজেপি রাজ্য প্রভারী সুনীল দেওধর, প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী প্রমুখ৷

উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ কাশ্মীর সীমান্তে দায়িত্ব পালনের সময় শহীদ হন বীরজওয়ান শম্ভু সাতমুড়া৷ ২০০৭ সালে তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন৷ দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করাই ছিল তার অঙ্গীকার৷ জীবন দিয়ে তিনি সেটাই দেশবাসীর সামনে প্রমাণ করে গেছেন৷ তার বাবাও সীমান্তরক্ষীবাহিনীতে চাকুরি করতেন৷ অবসর গ্রহণের পর বাড়িতে এসে কয়েকবছর পর হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যান৷ মা একমাত্র উপার্জনশীল পুত্র শম্ভুর উপরই নির্ভরশীল ছিলেন৷ প্রায় তিন বছর আগে পুত্রকে বিয়েও করান৷ এরই মধ্যে তার জীবনের স্বাদ স্বপ্ণ সবকিছু ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে৷

