ধর্মনিরপেক্ষতা অক্ষুন্ন রাখতে বিজেপি বিরোধী মঞ্চে কংগ্রেস থাকলে আপত্তি নেই তৃণমূলের

tmcনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ নভেম্বর৷৷ ঝেড়ে কাশলেন না, তবে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ গড়ে তুলতে কংগ্রেসের সাথে হাত মেলানো হতে পারে ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সেনাপতি মুকুল রায়৷ আত্মঘাতি সেনাকর্মীর শেষকৃত্যে একমঞ্চে কংগ্রেস ও তৃণমূলকে দেখে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী নয়া সমীকরণের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল৷ এবিষয়ে শনিবার আগরতলায় দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুলবাবু স্পষ্ট করে দেন, ভারতবর্ষের ধর্ম নিরপেক্ষ চরিত্র অক্ষত রাখতে যে দল এগিয়ে আসবে তার পাশে দাঁড়াবে তৃণমূল৷ ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের এখনো প্রায় আড়াই বছর সময় বাকি থাকলেও তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন সেটাও এদিন মুকুলবাবুর বক্তব্যে অনেকটা স্পষ্ট৷
[vsw id=”f4h6BFc2ciY” source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”yes”]বিজেপি’র সাথে কোন আপোষ করা হবে না, তা একপ্রকার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রীর সেনাপতি৷ নর্থ ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক এলায়েন্স (নেডা)’র কনভেনার হেমন্ত বিশ্ব শর্মা তৃণমূলকে সহযোগী হওয়ার প্রস্তাব দিলে তা গ্রহণ করা হবে কিনা প্রশ্ণের জবাবে, মুকুমলবাবু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষ দল৷ ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্ণে কোন আপোষ করা হবে না৷ ফলে, স্বাভাবিকভাবেই এধরনের প্রস্তাব আসার কোন সম্ভাবনা নেই৷ কিন্তু, যদি আসে তবে তা বিবেচনা করারও কোন সম্ভাবনা নেই সাফ জানান তিনি৷ ফলে, বিজেপি বিরোধী মঞ্চের দিকেই তৃণমূলের নজর তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে যায়৷
সেখানেই প্রশ্ণ উঠেছে এই মঞ্চে তৃণমূলের সহযোগী দল হিসেবে কারা থাকবে৷ তাতে, পুরনো বন্ধু কংগ্রেসের সাথেই কি মিলতে চলেছে তৃণমূল? সে বিষয়ে মুকুলবাবুর বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রে, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখার প্রশ্ণে সবাই একসাথে দাঁড়াতে চাইলে সেটাই হোক চাইছে তৃণমূল৷ এবিষয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় আগেও সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন, এখনও নেবেন৷ সেক্ষেত্রে যেকোন দলই হতে পারে৷ মুকুলবাবুর বক্তব্য, যারাই বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকে, ভারতবর্ষের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে অক্ষত রাখতে চাইছে, সবাইকে বলব এগিয়ে আসুন৷ মমতা বন্দোপাধ্যায় যা সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া দরকার তা গ্রহণ করবে৷ তাতে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেস-তৃণমূল আবারও এক হতে চলেছে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
এদিকে, মুকুলবাবু এদিন রাজ্যে দুটি আসনে উপনির্বাচনে সমস্ত ভোটাররা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তা সুনিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রতি আবেদন জানিয়েছেন৷ তবে, ভোটের দিন শাসক দল বলপূর্বক ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না দিলে তৃণমূল কংগ্রেসও প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে তিনি হুশিয়ারী দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, এরাজ্যে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না৷ সেজন্যই দীর্ঘ ২৩ বছর একটানা সিপিএম ক্ষমতায় রয়েছে৷ তিনি জানান, উপ-নির্বাচনে দুটি আসনে প্রতিটি বুথে তৃণমূলের কর্মীরা থাকবেন৷ শাসক দল জোর খাটালে প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে সরাসরি হাতাহাতিও হবে৷ কারণ, সিপিএম বলপূর্বক ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না দিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলা হবে মুকুলবাবু এদিন শাসকদলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন৷