নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ অক্টোবর৷৷ রাজ্যে অপরাধের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ বিশেষ করে নারী সংক্রান্ত অপরাধ৷ শনিবার গোটা রাজ্য যখন দীপাবলীর আনন্দে মাতোয়ারা তখন পাঁচ যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছে৷ এছাড়া এক মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে৷ দুটি ঘটনার ক্ষেত্রেই পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি৷ দক্ষিণ জেলার মনুবাজার থানার অধীন বিষ্ণরাম গ্রামে চার যুবক মিলে পাঁচ যুবতীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ৷ অন্যদিকে, রানীরবাজার থানার পুলিশ যখন থানার কালী পূজার আনন্দে ব্যস্ত তখন নলগড়িয়া এলাকায় এক মহিলাকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে৷
সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুরাম গ্রামের পাঁচ যুবতী উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে দীপাবলী মেলা ও উৎসব দেখে বাড়ি ফিরছিল৷ তখন তাদেরকে গ্রামেরই চার যুবক পথে আটক করে৷ জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ঐ যুবতীদের ধর্ষণ করা হয়৷ পরে ধর্ষিতা যুবতীরা বাড়িতে গিয়ে গোটা বিষয় পরিবারের লোকজনকে জানায়৷ সেই মোতাবেক অভিভাবকরা মনুবাজার থানার পুুলিশে অভিযোগ করেন৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে ঘটনার চবিবশ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও গ্রেপ্তারের কোন খবর নেই৷ পাঁচ যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷ জেলার পদস্থ পুলিশ অফিসাররা বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চার যুবক ঐ গ্রামেরই বাসিন্দা৷
এদিকে, রাণীরবাজারের নলগড়িয়া এলাকায় এক মহিলাকে নিজ বাড়িতেই ধারালো অস্ত্রে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে৷ নিহত মহিলার নাম স্বপ্ণা চক্রবর্তী৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ রাণীরবাজার থানাধীন নলগড়িয়া এলাকায় নিজ বাড়িতেই খুন হয়েছেন এক মহিলা৷ নিহত মহিলার নাম স্বপ্ণা চক্রবর্তী৷ জানা যায়, রবিবার সকালে নিহতের পুত্র ঘুম থেকে উঠে লক্ষ্য করে উঠানে মায়ের গলাকাটা মৃতদেহ পড়ে রয়েছে৷ পুত্রের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন৷ খবর পাঠানো হয় রাণীরবাজার থানায়৷ রাণীর বাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন৷ সেখান থেকে গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ নিহতের কাছ থেকেই একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ নিহত মহিলা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে জানা গেছে৷ নিহতের স্বামী অজিৎ চক্রবর্তী দাবি করেছেন তার স্ত্রী নিজেই আত্মহত্যা করেছে৷ পুলিশ অবশ্য ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ মৃতার স্বামী অবশ্য দাবি করেছেন তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে৷ প্রায় ২০ বছর আগে অজিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে সামাজিক প্রথায় বিয়ে হয়েছিল স্বপ্ণা চক্রবর্তীর৷ তাদের ২টি পুত্র সন্তান রয়েছে৷ কেন এই ঘটনা সংগঠিত হল তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ণ উঠেছে৷
2016-10-31
