নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ সেপ্ঢেম্বর৷৷ দাদাগিরি মনোভাব ইস্যুতে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস একজোট হয়েই চলছে৷ শনিবার এই ইস্যুতে বিজেপি যুব মোর্চা বিক্ষোভ সভার আয়োজন করেছে৷ অন্যদিকে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আগামীকাল রাজ্যপাল তথাগত রায়ের সাথে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হবে৷ পাশাপাশি আগামীকাল থেকে যুব তৃণমূল কংগ্রেস সারা রাজ্যব্যাপী তিনদিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করবে৷ এরই অঙ্গ হিসেবে আগামীকাল বিকালে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভ জানাবে তৃণমূলের যুব সংগঠন৷
এদিকে, গত ২২ শে সেপ্ঢেম্বর তিন দিবসীয় তৃতীয় পূর্বাঞ্চলীয় কানেক্টিভিটি সামিট কলক্লেভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে যে ভাষায় বিদেশী অতিথিদের উপস্থিতিতে বক্তব্য রেখেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চা কঠোর ভাষায় তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে৷ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাক্ট-ইস্ট পলিসি ও নীতি আয়োগ পলিসির বিরোধীতা করে যে ভাষায় ভারত সরকারকে বিগ ব্রাদার এটিচ্যুড দেখানো উচিত নয় বলে আক্রমণ করেছেন তাতে উনার ভারতবিরোধী মনোভাবেরই ইঙ্গিত বহন করে বলে সংগঠনের অভিযোগ৷ মানিক বাবুর এই দেশবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে সারা রাজ্যব্যাপী ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা বিক্ষোভ কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সভা সংঘটিত করছে বলে সংগঠনের পক্ষ্য থেকে জানানো হয়েএছ৷৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার উদ্যোগে আগরতলার প্যারাডাইস চৌমুহনীতে এক বিক্ষোভ সভার আয়োজন করা হয়েছে৷ উক্ত বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি টিংকু রায়, সহ-সভাপতি নিপু ঘোষ, রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি বিপ্লব কান্তি ভৌমিক ও অন্যান্য কর্মীসমর্থকরা৷
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক শ্রীবর্মন বলেন, ফিকির সামিটে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সন্ত্রাসবাদীদের এবং ভারত বিরোধীদের উৎসাহ দেবে৷ সিপিএম বরাবরই ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে চলে৷ একারণেই আন্তর্জাতিক মহলের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ভারত সরকারকে অবমাননা করে বক্তব্য রেখেছেন৷ তিনি দাবী করে বলেন, একদিকে যখন পাকিস্তানের উপর ভারত সরকার কূটনৈতিক চাপ বাড়াতে চাইছে এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের উদ্দেশ্য ভারত বিরোধীদের উৎসাহ দেওয়া৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আবারও তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার দাবী জানিয়েছেন৷