বিশেষ প্রতিনিধি, বিলোনীয়া, ১৯ সেপ্ঢেম্বর৷৷ বামশাসিত মডেল রাজ্যে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের মুক্তাঞ্চল বিলোনীয়াতে আবারও নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটল৷ বিলোনীয়া মহিলা থানায় মামলা দায়ের নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১৭ তারিখ শনিবার বিশ্বকর্মা পূজার রাতে পুরান মতাই এলাকার পাল কলোনীতে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকা ধর্ষিতা হয়৷ বাড়ির পাশে পূজোতে ছিলেন নাবালিকার বাবা-মা৷ বাড়িতে ছিল নাবালিকা ও তার দিদা৷ বাড়ির লোকেরা আসবে বলে দরজা এমনিতে বন্ধ ছিল৷ নাবালিকা ঘরে একা আর বারান্দায় শুয়ে ছিল দিদা৷ হঠাৎ চিৎকার শুনে দিদার ঘুম ভেঙ্গে ঘরে গেলে দেখে পার্শ্ববর্তী যুবক সুব্রত পাল ওরফে বাপ্পি ঘর থেকে বেরিয়ে পালাচ্ছে আর নগ্ণ অবস্থায় নাবালিকা পড়ে রয়েছে৷ তখন চিৎকার শুরু হলে মা-বাবা এবং প্রতিবেশীরা ছুটে আসে৷ ঘটনা দেখে এবং শুনে সকলে স্তম্ভিত৷ ধর্ষক বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক৷ এলাকায় শাসক দলের লোক বলে পরিচিত এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের নিকট আত্মীয়৷ তাই প্রথমত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ এবং মাতববরা ঘটনা মীমাংসা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়৷ যেহেতু অভিযুক্ত শাসক দলের লোক এবং প্রধানের আত্মীয় তাই পরিকল্পিতভাবে মীমাংসার প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ বাম শাসনে ধর্ষণ এবং খুনের মত ঘটনা মীমাংসা হওয়ার নজির রয়েছে অনেক তাই এক্ষেত্রেও বাদ যায় কেন? অবশেষে একদিন গড়িয়ে কোন সুরাহা না হওয়ায় আজ নাবালিকার পরিবার ঘটনা জানিয়ে মামলা করে৷ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য রয়েছে৷ ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলে ডাক্তারি পরীক্ষায় কোন প্রমাণ পাওয়া যাবে না জেনেই কৌশলি শাসক দলের এ ব্যবস্থা৷ নাবালিকার পরিবার ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত এবং যথোপযুক্ত শান্তির দাবি জানাচ্ছে৷ এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল সুশঙ্কর ভৌমিকের নেতৃত্বে ধর্ষিতার বাড়ি যায় এবং ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়৷ তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানায় এবং অভিযুক্ত সুব্রত পাল গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানায়৷ সিপিএম পরিকল্পিত ভাবে মামলা করতে দেরি করিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন৷ তৃণমূল কংগ্রেস আগামী ২২ তারিখ মতাইতে এবিষয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ কিন্তু নারী দরদি শাসক দলের নারী সংগঠন এবং সিপিএম চুপ৷ আসামীকে এখনো ধরতে পারেনি মহিলা থানা৷ এক্ষেত্রে মহিলা থানা ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ৷
2016-09-20