কলকাতা, ১৫ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : নতুন করে দল ছাড়ার জল্পনা উসকে দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইঞা। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে অধীর চৌধুরী, আবদুল মান্নান ও রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক সি পি জোশিকে আক্রমণ করে বললেন দলে থেকে আর দলের কাজ করা যাবে কি না ভাবতে শুরু করেছি। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা । তিনি শোকজ়ের কোনও চিঠি পাননি বলেও দাবি করেন এদিন।মানসের এই মন্তব্যই নতুন করে উস্কে দিল তাঁর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা।এমটাই মনে করছে রানৈতিক মহল ।
বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে মন কষাকষির সূত্রপাত। এরপর কখনও প্রকাশ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানকে আক্রমণ করেছেন। আবার কখনও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অধীর চৌধুরীর অপসারণেরও দাবি তুলেছেন। সঙ্গে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইঞা। আর এরকম পরিস্থিতিতে তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।
আজ সাংবাদিক বৈঠক করে মানস ভুঁইঞা দাবি করেন, “এআইসিসি-কে চিঠি দিলাম, উত্তর নেই। দিল্লি গেলাম, কথা হল। কিন্তু, কোনও বার্তা নেই। আর গত কয়েকদিন ধরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আমাকে নাকি শোকজ় করা হয়েছে। কিন্তু, আমি কোনও চিঠি পাইনি।” আরও বলেন, তাই এই পরিস্থিতিতে আর দলের কাজ করবেন কি না তা ভাবতে শুরু করেছেন। বলেন, এতদিন ধরে কংগ্রেস করছেন এরকম পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি।
অধীর চৌধুরী ও আবদুল মান্নানকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “সিপিএম-এর মন্ত্রণায় আমাকে বয়কট করা হচ্ছে। আমাকে লবিতে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। আর কংগ্রেসটা আইসক্রিমের মতো গলে যাচ্ছে। অধীর চৌধুরী আর আবদুল মান্নানের নতুন নাম কী হবে আমি জানি না।” সি পি জোশিকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি তো ঘুমোচ্ছেন। এদিকে, ২০১৬ সাল বাংলার কংগ্রেসের ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায় বলেও মন্তব্যও করেন তিনি।
প্রসশঙ্গত, কয়েক দিন আগেই মানসের ভাই বিকাশ ভুঁইয়া দলবল নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মানসের মতো তাঁর ভাই বিকাশের বিরুদ্ধেও সবংয়ে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। মানসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর এদিনের মন্তব্য নতুন করে উস্কে দিচ্ছে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা।