টোকিও, ৫ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : চিন যতই আপত্তি করুক, এনএসজি-তে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ভারতের পাশেই দাঁড়াচ্ছে দীর্ঘদিনের
সঙ্গী জাপান| এই বছরের প্রথমদিকে সিওলে অনুষ্ঠিত এনএসজি-র বৈঠকে ভারতের সদস্যপদ মঞ্জুর না হওয়ার পর এই প্রথম সরকারিভাবে মুখ খুলল তারা| টোকিও জানিয়েছে, দিল্লি যাতে এনএসজি-তে প্রবেশাধিকার পায়, সে জন্য অন্যান্য সদস্য দেশের সঙ্গে আলোচনা চালাবে তারা| কারণ, ভারতের প্রবেশের ফলে পাবে|
একসময়ে ভারতে ডেপুটি চিফ অফ মিশনের দায়িত্ব থাকা ও বর্তমানে জাপানের ডিরেক্টর জেনেরাল অফ প্রেস ও কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইয়াসুহিসা কুয়ামারা বলেন, ভারত যাতে সদস্যপদ না পায় তারজন্য চিনের কর্মকাণ্ড সবাই প্রত্যক্ষ করেছে| তবে আমরাও অতীতের মতোই ভারতের পাশে আছি| আর ভারতকে এনএসজি সদস্যপদ পেতে সবরকম সাহায্য করতে চাই| এই ব্যাপারে বাকি সদস্য দেশগুলির সঙ্গে আলোচনাও চালানো হচ্ছে| তবে এই বিষয়ে এনএসজি-এর বৈঠকে আমরা কোনও আলোচনা করিনি| কারণ আমাদের লক্ষ্য হল এই বিষয়ে আগে অন্যদেশগুলির মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা| আমরা সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করছি| তবে এই ব্যাপারে অন্যদেশগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে|
এই বিষয়ে জাপানের আরও এক কূটনৈতিক মাসাউকি টাগা জানান, এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি জাপানকেও এনএসজি-র উদ্দেশ্য পূরণে সাহায্য করবে| চিন যে ভাবে পাকিস্তানকে পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে পদ্ধতি ও উপাদান দিয়ে সাহায্য করছে তা এনএসজি ও এনপিটি-এর নিয়মের পরিপন্থী| তারা যে কারণ দেখিয়ে ভারতকে এনএসজি-র সদস্যপদ নিতে বাধা দিচ্ছে| নিজেরাই সেই নিয়ম রীতিমতো ৱুক ঠুকে ভাঙছে| এই বিষয়ে প্রতিরোধ হওয়া দরকার| তাই অস্ত্র প্রসার রোধ করতে এনএসজি-তে ভারতকে চাই|
জাপান অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভারত এনপিটি সই না করলেও অস্ত্রপ্রসাররোধে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, তাই তাদের এনএসজি সদস্যপদের দাবি যুক্তিযুক্ত| পাকিস্তানের নাম না করে তাদের মন্তব্য, কিছু দেশকে এ ব্যাপারে আরও চেষ্টা করতে হবে|-
2016-09-06

