বালুরঘাট, ৩১ আগস্ট (হি.স): বালুরঘাট রবীন্দ্র ভবন নির্মাণ কাজের দুর্নীতি ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের বেহাল অবস্থা খতিয়ে দেখতে তথ্য সংসস্কৃতি দপ্তরে আচমকা হাজির হলেন জেলা শাসক ও বালুরঘাটের সাংসদ| বুধবার দুপুরে জেলা শাসককে সঙ্গে নিয়ে সাংসদ হাজির হন রবীন্দ্র ভবনের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরে| যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের নির্বাহী বাস্তুকার বিকাশ সরকার সহ প্রশাসনের বেশকিছু কর্মকর্তারা| এদিন তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিকের ঘরে বেশ কিছুক্ষণের বৈঠক চলে যেখানে রবীন্দ্র ভবন সংস্কারের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকা কিভাবে হরির লুটের মতো খরচ হলো তার যাবতীয় হিসাব জানতে চাওয়া হয়| বেহাল অবস্থায় থাকা রবীন্দ্র ভবনের ইনসাইডের কাজ এক ধাপও এগোয়নি ওই বরাদ্দকৃত অর্থে তা নিয়ে নির্বাহী বাস্তুকারকে এদিন ধমক দিতেও শোনা গেছে| বৈঠক শেষে বেড়িয়েই এদিন রবীন্দ্র ভবনের বেহাল অভ্যন্তরীন খতিয়ে দেখেন জেলা শাসক সঞ্জয় বসু, সাংসদ অর্পিতা ঘোষ সহ অন্যান্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা| বালুরঘাট শহরের অন্যতম সরকারি প্রেক্ষাগৃহ রবীন্দ্র ভবন| যেখানে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অবস্থান| রাজ্য সরকারের বরাদ্দকৃত ৪৩ লক্ষ টাকা জেলা দপ্তরের মাধ্যমে ওই ভবন সংস্কারের কাজ হলেও কেন্দ্রীয় কোন বরাদ্দ মেলেনি| রাজ্য সরকারের বরাদ্দকৃত ৪৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালে এই রবীন্দ্র ভবন সংস্কারের কাজ শুরু হতেই যেন থেমে যায়| ভবনের বাহিরে বেশ কিছু কাজ করতেই অর্থ শেষ এমনটা জানানো হয়| ভগ্নদশা প্রাপ্ত রবীন্দ্রভবন সংস্কারের কাজ একধাপও এগোয়নি| যার ফলে একদিকে যেমন, সরকারি প্রেক্ষাগৃহে শহরের সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে রয়েছে, অন্যদিকে এই সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় এক প্রকার যাযাবরের মতো অবস্থায় রয়েছে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ| সংস্কারের স্বপ্ন কাজেই অর্থ শেষ হয়ে যাওয়ায় ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ| বুধবার দুপুরেই সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সাংসদ ও জেলা শাসক হাজির হন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে| কাজ ও টাকার হিসাবের রিপোর্ট দ্রুত পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা পরিষদের নির্বাহী বাস্তুকারকে| জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রবীন্দ্র ভবন সংস্কারের কাজের পুরো রিপোর্ট নির্বাহীবাস্তুকারকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের এই বৈঠকে| সাংসদ অর্পিতা ঘোষ জানিয়েছেন, বেহাল রবীন্দ্র ভবনের অবস্থা খতিয়ে দেখতে তারা এসেছিলেন| উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের কিছু বরাদ্দকৃত অর্থে সমাপ্তি কাজ যেন দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, সেই ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছেন তারা| পাশাপাশি ৪৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দে যে কাজ হয়েছে সেখানে ই্রসাইডের কোন কাজই হয়নি| সেই সমস্ত কাজের রিপোর্ট ও হিসাব অতি দ্রুত পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে|