নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ আগস্ট৷৷ ২৩ আগষ্টের অশান্ত পরিবেশের জেরে রাজ্য জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ জাতি-উপজাতি উভয় অংশের মানুষের মধ্যে অশান্তির বাতাবরণ তৈরী হতে শুরু করেছে৷ রাজ্য আরক্ষা প্রশাসন এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হলেও বিশেষ করে শহর এলাকায় বসবাসকারী উপজাতি জনগণ চাকুরী জীবি এবং ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ক্রমশ বেড়ে চলেছে৷ ব্যাপক সংখ্যায় উপজাতি অংশের মানুষ জন শহর ছেড়ে ঘরমুখী হতে চলেছে৷ তাদেরকে ঠেকানো প্রশাসনের পক্ষেও কষ্টকর হয়ে উঠেছে৷ প্রকৃত পক্ষে তারা ভুঁয়ো আতঙ্কে শহর ছেড়ে বাড়িঘরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে৷ তাদের নিরাপত্তার জন্য যতই প্রয়াস নেওয়া হোক না কেন তাতে কর্ণপাত করছেন না এই অংশের লোকজন৷ শহর ছেড়ে বাড়িঘরে চলে যাওয়ার প্রবণতা রাজ্যে অশান্তির বাতাবরণ তৈরীর ক্ষেত্রে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করতে পারে৷ প্রশাসনের তরফে এই সব উপজাতি অংশের মানুষকে শহর ছেড়ে ঘরমুখী না হওয়ার পরামর্শ না দেওয়া হলে তারা বিষয়টিকে অন্যদিকে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ এর ফলে গ্রামীণ ও মিশ্র বসতি এলাকায় মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ বৃহস্পতিবার আগরতলা এয়ারপোর্ট রোডে জিনজার হোটেল সংলগ্ণ এলাকায় বেশ কিছু উপজাতি ছাত্র-ছাত্রী জড়ো হয় বাড়ি ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য৷ তাদেরকে ফিরেয়ে আনার জন্য জেলা প্রশাসন ও আরক্ষা প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের প্রয়াসও ব্যর্থ হয়েছে৷ উপজাতি অংশের মানুষজন প্রশাসনের সব প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে৷
পুলিশ সুপার অভিজিৎ সপ্তর্ষি এবং জেলা শাসক মিলিন্দ রামটেক সহ জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারীকরা এদিন দুপুরে শহরতলীর কুঞ্জবন এলাকায় গিয়ে ঐসব ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন৷ ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য তারা ভীত সন্ত্রস্ত৷ পাশাপাশি তারা আগরতলায় যেসব বাড়িতে ভাড়া থাকেন সেইসব বাড়ির মালিকরাও তাদের অভয় দিতে পাড়ছেন না বলে তারা জানিয়েছেন৷ অভিভাবকরা এদিন জানিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসনের কাছে তারা দাবী করছেন যাতে আগরতলা থেকে তাদেরকে নিজ নিজ বাড়ি পর্যন্ত নিরাপত্তা দিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়৷ এই পরিস্থিতিতে জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার বলেছেন যদি নিজেরা বাড়ি যেতে চান তাহলে তাদের বাধা দেওয়া যাবে না৷ তবে তাদের আগরতলা ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি গোটা রাজ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে৷
2016-08-26