নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ আগস্ট৷৷ গণবন্টন ব্যবস্থায় কেরোসিনে কোপ পড়বে খাদ্য দপ্তরের ঘোষিত গ্রামীণ এলাকায়৷ পুর নিগম এলাকায় অবশ্য একই হারে বন্টন করা হবে কেরোসিন৷ কেরোসিনে কোপ পড়ার জন্য খাদ্যমন্ত্রী ভানুলাল সাহা কেন্দ্রীয় সরকার গণবন্টন ব্যবস্থায় কেরোসিন সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে বলে দায়ী করেছেন৷ জুলাই মাস থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর বলে তিনি জানিয়েছেন৷
মূলত, খাদ্য দপ্তরের ঘোষিত গ্রামীণ এলাকায় কেরোসিন মাথা পিছু ১ লিটার এবং পুর নিগম এলাকায় মাথাপিছু ৫০০ গ্রাম করে গণবন্টন ব্যবস্থায় সরবরাহ করা হত৷ কেন্দ্রীয় সরকার সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় জুলাই মাস থেকে গ্রামীণ এলাকায় ভোক্তাদের মাথাপিছু সাড়ে ৭০০ গ্রাম করে গণবন্টন ব্যবস্থায় কেরোসিন সরবরাহ করা হবে৷ যেহেতু পুরবাসীদের আগেও ৫০০ গ্রাম করে কেরোসিন দেওয়া হত সেক্ষেত্রে এই পরিমাণ একই রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার কেরোসিন সরবরাহ বাড়ালে রাজ্যেও খাদ্য দপ্তরের ঘোষিত গ্রামীণ এলাকায় মাথাপিছু কেরোসিনের পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন৷
এদিকে, যতদিন না একাংশ যান চালক প্রয়োজনের অধিক পেট্রোল সংগ্রহ করা বন্ধ করবে ততদিন এই সংকট কাটবে না বলে তিনি জানিয়েছেন৷ খাদ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, যত ট্যাঙ্কার দরকার ততটা আসেনি৷ তার উপর একাংশ যান চালক প্রয়োজনের অধিক পেট্রোল সংগ্রহ করছেন৷ ফলে, তাঁরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেট্রোল সংগ্রহ করা বন্ধ না করলে এই সংকট আপাতত মিটবে না৷
এদিন খাদ্যমন্ত্রী এক তথ্য তুলে ধরে জানান, প্রতিদিন গড়ে ১৭ ট্যাঙ্কার পেট্রোল এবং ২৬ ট্যাঙ্কার ডিজেল রাজ্যের বিভিন্ন পাম্পে সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে৷ যেখানে প্রয়োজন পেট্রোল ও ডিজেল মিলে মোট ৫৮ ট্যাঙ্কারের৷ জুন ও জুলাই মাসের তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, জুন মাসে পেট্রোল ৩২২ এবং ডিজেল ৪৮২ গাড়ি এসেছে৷ জুলাই মাসে পেট্রোল ৩৪৪ এবং ডিজেল ৫২৫ ট্যাঙ্কার এসেছে৷ রাজধানী আগরতলাতে পেট্রোল সংকটের আকার গোটা রাজ্যের তুলনায় মারাত্মক৷ তার কারণ সারা রাজ্যের জন্য যে তেল সরবরাহ করা হয়েছে তার মধ্যে ২৭ শতাংশ আগরতলার জন্য বরাদ্দ করা সম্ভব হয়েছে৷ তবে, এখন যেভাবে পেট্রোল-ডিজেল ট্যাঙ্কার আসা শুরু হয়েছে তা বজায় থাকলে আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে৷ তবে, সংকট শেষ হবে তা বলা মুশকিল বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী৷ এদিকে, বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন পাম্পে পেট্রোলের ২৮টি এবং ডিজেলের ২৬টি ট্যাঙ্কার ঢুকবে৷ এর মধ্যে আগরতলায় পেট্রোলের ৯টি এবং ডিজেলের ২টি ট্যাঙ্কার ঢুকবে৷ এদিন খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে৷ ফলে, ২টি জাতীয় সড়ক দিয়েই গাড়ি আসতে শুরু করেছে৷ তাতে, ধারণা করা হচ্ছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে পেট্রোল ও ডিজেলের যে সংকট দেখা দিয়েছে তার কিছুটা মিটবে৷
2016-08-03

