নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জুলাই ৷৷ কাশিরামপুরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ ইতিমধ্যেই সহয়াতর সুযোগ পেতে শুরু করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি৷ কাঞ্চনপুর মহকুমা শাসক কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১৫ মে কাশিরামপুরে সংঘটিত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ২০টি পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হয়েছে৷
ঘটনা সংঘটিত হওয়ার অব্যবহিত পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য খাদ্য ও আশ্রয়ের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করা ছাড়াও পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর তাদের জন্য বিভিন্ন সহায়তা মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে৷ এর মধ্যে রয়েছে যাদের বাড়িঘর সম্পূর্ণরূপে ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছিল এমন ১৪টি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে এবং যাদেব বাড়িঘর আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেরকম ৬টি পরিবারকে ৭ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়৷ ঘটনার দিন থেকে প্রতিদিন প্রাপ্ত বয়স্কদের জন প্রতি ৬০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪৫ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যাতে ক্ষুদ্র ব্যবসা, পোল্ট্রি ফার্ম, দুগ্দবর্তী গাভী ইত্যাদি পালনের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারে সেজন্য তপশিলী জাতি কল্যাণ দপ্তর থেকে প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দানের জন্য ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে মহকুমা প্রশাসনের মাধ্যমে৷ ইন্দিরা আবাস যোজনায় গৃহ নির্মাণ করে দ্যেয়ার জন্য দশদা ব্লকের বিডিও ওয়ার্ক অর্ডার জারি করেছেন৷ প্রতি ঘরের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা৷ যে সব পরিবারকে এই সহায়তা দেওয়া হবে তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে ইমিধ্যে প্রথম কিস্তি ২৩, ২৯৫ টাকা জমা পড়ে গেছে৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যাতে তাদের পরিবারিক জমি কাজে লাগাতে পারেন সে জন্য চলতি অর্থ বছরে রেগার মাধ্যমে দশদা ব্লকের বিডিও প্রতিটি পরিবারকে ৯৫ দিনের শ্রমদিবস প্রদান করবে৷ কাঞ্চনপুরে কৃষি মহকুমা কার্যালয়ের সুপারিন্টেডেন্ট শ্রীপদ্ধতিতে ধান চাষের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবারদের আর্থিক সহায়তা দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ এ ডিসির প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের কাঞ্চনপুর কার্যালয়ের সহ অধিকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির নিজ নিজ বাসস্থানে ফিরে যাওয়ার সাথে সাথেই প্রতি পরিবারকে ৩০টি মুরগীর ছানা প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন৷
প্রাথমিক হিসাবে দেখা গেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে রাজ্য সরকার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মোট ১২ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৮৪ টাকা ব্যয় করেছে৷