নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ জুলাই৷৷ এবার প্রকাশ্য জনসমাবেশে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজেই জানালেন আগামী ৯ আগস্ট ত্রিপুরায় আসছেন৷ দীর্ঘদিনের বামফ্রন্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য সে কথা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানালেন৷ সাথে মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের উজ্জীবিত করতে বললেন, ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন৷ শুধু তাই নয়, জোর গলায় দাবি করে বলেন, আগামী ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস শাসক দল বামফ্রন্টকে পরাজিত করবেই৷
বৃহস্পতিবার কলকাতায় তৃণমূল সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে দলনেত্রী পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্টের ক্ষমতা বদল করা সম্ভব হয়েছে, তা ত্রিপুরাতেও সম্ভব বলে দাবি করেন৷ এদিন তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেন, দেশের আরেক বামদুর্গ দখলের লক্ষ্যে এবার ঝাঁপাবেন তিনি৷ ২০১৮ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ সে নির্বাচনে ত্রিপুরার মাটিতে ঘাস ফুল ফোটানোর লক্ষ্যেই প্রথম ধাপ হিসেবে আগামী ৯ আগস্ট ত্রিপুরায় জনসমাবেশে অংশ নেবেন তিনি৷
শুধু দলনেত্রী নন, একই সুর তৃণমূলের সমস্ত নেতৃত্বে৷ তাঁরাও ঘোষণা দিলেন বামফ্রন্ট শাসিত ত্রিপুরা দখল করা৷ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি বলেন, এবার আমরা ত্রিপুরা দখলের লক্ষ্যেই সকলে মিলে ঝাঁপাব৷ সম্প্রতি আগরতলায় তৃণমূলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় স্পষ্ট বলে গিয়েছিলেন, ত্রিপুরায় এখন দলনেত্রীর পরবর্তী লক্ষ্য৷ আগামী ৯ আগস্টের জনসমাবেশ থেকে সেই বার্তা তিনি রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে ছঁুড়ে দেবেন৷ মুকুল রায় জানিয়েছিলেন, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতৃত্বরা এক জোটে কাজ করবে৷ এমনকি দলের বহু বিধায়ক এবং সাংসদ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন৷ দলনেত্রী খোদ কামান সামলাবেন৷ মুকুল রায়ের পর এদিনের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রীও জানিয়ে দিলেন ত্রিপুরা এখন তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য৷
কলকাতায় একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্য থেকে প্রদেশ তৃণমূলের চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায় বর্মণ গিয়েছেন৷ অনুষ্ঠান মঞ্চে সুদীপবাবুও বক্তব্য রেখেছেন৷ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ত্রিপুরায় পরিবর্তন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির পক্ষেই সম্ভব৷ এদিকে, তৃণমূল নেত্রীর এই ঘোষণা রাজ্যে দলের কর্মী সমর্থকরাও অনেকটাই উজ্জীবিত হবেন বলে মনে করছেন নেতৃত্বরা৷