নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ জুলাই৷৷ পাশের বাড়ির গরু পাশের বাড়ি গিয়ে সবজি ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই বাড়ির ঝগড়া শেষ পর্যন্ত সিপিএম এবং বিজেপি দুই দলের অস্তিত্বের লড়াই চলছে৷ ঘটনায় পঞ্চায়েতের সিপিএম দলের উপপ্রধান সহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং একজন পলাতক৷ ঘটনাটি ঘটে কৈলাসহর শহর থেকে সতেরা কিমি দূরে৷ শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তীর বিধানসভা কেন্দ্রের গোলকপুর ভিলেজের এক নং ওয়ার্ডে৷ গোলকপুর ভিলেজটি চা বাগান বেষ্টিত এলাকা৷ ভিলেজের সত্তর ভাগ এলাকায় চা বাগান রয়েছে৷ যার ফলে ভিলেজের নববই শতাংশ মানুষ বাগান শ্রমিক৷ এক নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কানাই নায়েকের পাশের বাড়ির গরুটি প্রায় দুশো মিটার দূরে আরেক বাড়ির সবজির ফসল খেয়ে ফেলে৷ সন্ধ্যায় সবজির মালিক কানাইকে এই কথা বললে কানাই বলে যে এখন রাত হয়ে গেছে পরে কথা বলা হবে৷ উল্লেখ্য নয় আসন বিশিষ্ট গোলকুপর ভিলেজটিতে বিজেপি দলের একজন পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছে৷ বাকি আটজন সদস্যই সিপিএম দলের৷ বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা হলেন কানাই নায়েকের স্ত্রী মণি নায়েক৷ রাত আনুমানিক এগারটা নাগাদ সিপিএম দলের প্রাক্তন উপপ্রধান মানিক কর্মকার এবং এলাকার প্রভাবশালী সিপিএম দলের নেতা গান্ধী কর্মকারের ছেলেদের নেতৃত্বে কানাই এর বাড়ি ঘেরাও করে ঘরের ভিতরে অস্ত্র সহ ঢুকে কানাইকে ডান চোখের পাশে দা দিয়ে আঘাত করে এবং কানাইয়ের ভাই মহেশ্বর নায়েকের ডান হাত ছেদ দেয় এবং কানাই এর আট বছরের সন্তানক্যে আঘাত করে৷ তাছাড়া বিজেপি দল না ছাড়লে এলাকা ছাড়া করা হবে বলে হুমকি দেয়৷ ঘটনাস্থলে কৈলাসহর থানার পুলিশ যায় এবং আহতদের কৈলাসহর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে৷ কানাইয়ের ডান চোখের উপরে একটি সেলাই লেগেছে এবং মহেশ্বরের ডান হাতে সাতটি সেলাই লেগেছে৷ কানাই কৈলাসহর থানায় মামলা করেছে৷ চারজনের বিরুদ্ধে৷ পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে সোমবার দুপুরে কৈলাসহর কোর্টে পাঠায়৷ আদালত থেকে মানিক কর্মকার জামিনে মুক্তি পায়৷ বাকিদের জেল হাজতে পাঠায় আদালত৷