নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ জুলাই৷৷ রাজ্যে পাহাড় দখলে নিতে উপজাতি ভিত্তিক আঞ্চলিক দল আইপিএফটির সমর্থন প্রয়োজন তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন বিজেপি প্রদেশ নেতৃত্বরা৷ কিন্তু পৃথক রাজ্যের দাবি মেনে আইপিএফটির সাথে সখ্যতা গড়ে তুললে তা বুমেরাং হতে পারে সে বিষয়েও নিশ্চিত দলের প্রদেশ কর্তারা৷ ফলে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের মাধ্যমে আইপিএফটির পৃথক রাজ্যের দাবি ঠান্ডাঘরে ঠেলে দেওয়া যায় কিনা সে উদ্যোগ নিতে চলেছে বিজেপি প্রদেশ নেতৃবৃন্দরা৷ সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি প্রদেশ সভাপতি বিপ্লব দেব জানিয়েছেন, আগামী ১৩ জুলাই নেডা’র (নর্থ ইস্ট ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স) আইপিএফটিকে কিভাবে পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরিয়ে তাদের সমর্থন আদায় করা যায় সে বিষয়ে জোর চেষ্টা করা হবে৷ তাতে, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ তথা সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস এস আলুওয়ালিয়া হস্তক্ষেপের আর্জি জানানো হবে৷ বিজেপি প্রদেশ সভাপতি জানান, দার্জিলিং থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবিদার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সহায়তায় এস এস আলুওয়ালিয়া সাংসদ হয়েছেন৷ ফলে তিনি আইপিএফটি নেতৃবৃন্দদেরও ম্যানেজ করতে পারবেন বলে বিজেপি প্রদেশ সভাপতি যথেষ্ট আশাবাদী৷
এদিন, বিপ্লববাবু জানান, আগামী ১৩ জুলাই নেডা’র বৈঠকে রাজ্য প্রভারী সুনীল দেওধরও থাকবেন৷ এছাড়া মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট, পিপলস পার্টি অফ অরুণাচল, অসম গণপরিষদ, বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট, আইপিএফটি এবং মেঘালয়ের ইউডিপি ও এনপিপি দলের নেতৃবৃন্দরা ঐ বৈঠকে যোগ দেবেন৷ বিজেপি প্রদেশ সভাপতি জানিয়েছেন, নেডা’র কনভেনার আসামের বিধায়ক হেমন্ত বিশ্ব শর্মাও আইপিএফটি যাতে পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে এসে বিজেপিকে সমর্থন দেয় সে বিষয়ে জোর চেষ্টা করবেন৷
সম্প্রতি আইপিএফটি নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, নেডা’র সাথে যুক্ত হতে তাদের কোন আপত্তি নেই৷ কিন্তু পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে তারা কিছুতেই সরবে না৷ এই দাবি মেনে নিলেই নেডা’র সাথে যুক্ত হয়ে বিজেপিকে এ রাজ্যে সমর্থনে তাদের কোন আপত্তি থাকবে না৷ ফলে, ঐ বৈঠকে কি স্থির হয় তা এখনই অনুমান করা যাচ্ছে না৷
2016-07-12

