নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, নয়া দিল্লী, ১০ জুলাই৷৷ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে দশজন সশস্ত্রজঙ্গী৷ এই ব্যাপারে নয়া দিল্লীকে সতর্ক করল ঢাকা৷ বাংলাদেশ সরকার জঙ্গীদের তালিকা এবং ছবিও ভারত সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ এদিকে, এই তালিকা হাতে পেয়েই ভারত-বাংলাদেশ বিভিন্ন রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের নজরদারী বাড়ানো হয়েছে৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, ঢাকা থেকে সতর্কবার্তা আসতেই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে৷ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে নজরদারী কঠোর করা হয়েছে৷ সন্দেহভাজন জঙ্গীদের যে ছবি বাংলাদেশ সরকার ভারতকে দিয়েছে, তাও বিএসএফের এর হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷
ঢাকার গুলশানে জঙ্গী হামলার সঙ্গেও এই দশ জঙ্গীর যোগ রয়েছে বলে ঢাকার দাবী৷ বাংলাদেশের গোয়েন্দারা মনে করছেন, ভারতে বড়সড় নাশকতা চালানোর লক্ষ্যেই এই দশ জঙ্গী সীমান্ত পেরনোর চেষ্টা করছে৷ এদিকে, বাংলাদেশের দিকে বিজিব কঠোর নজরদারী চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে বিএসএফকে সতর্ক করার সাথে সাথেই ভারত-বাংলদেশ ত্রিপুরা সীমান্তেও নজরদারী কঠোর করা হয়েছে৷ যেসব এলাকায় সীমান্ত এলাকায় এখনো কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি তথা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়ছে৷ পাশাপাশি এপাড়ের সন্দিগ্দদের উপরও বিএসএফ কঠোর নজরদারী চালাচ্ছে৷
এদিকে, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) সদস্য জেহাদি শহিদুলের মাধ্যমে আইসিস এর জাল আসামে বিস্তার করা হচ্ছে বলে খবর৷ আরেক শাহানুর আলমের মাধ্যমে রক্তাক্ত করার ব্লু প্রিন্ট রচনা করেছে আইসিসি৷ ‘খলিফা রাষ্ট্র’ গঠনের স্বপ্ণে বিভোর বিশ্বত্রাস সন্ত্রাসবাদী সংগঠনিটর জেএমবি-কে সঙ্গে নিয়ে ভারত উপমহাদেশে অস্থিরতা স্থাপন করাই তাদের লক্ষ্য৷ এজন্য আইসিস ব্যবহার করছে পশ্চিমবঙ্গ-আসামে জেএমবির বিস্তৃত নেটওয়ার্ক৷ এই ব্যাপারে তাদের সহযোগের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আসামের এক যুবক৷
বরপেটা জেলার তারাবাড়ি থানার রৌমরিপথার গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামের ওই ২১ বছর বয়সি জেহাদি যুবকের হাত ধরেই আসামে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে আইসিস৷ রেছে৷ ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে৷ উল্লেখ করা যেতে পারে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে সংঘটিত বিস্ফোরণের পর এনআইএ এর জালে আটক জেএমবি সদস্য শাহানুর আলম ওরফে ডাক্তারবাবুর অতি ঘনিষ্ঠ ছিল এই শহিদুল ইসলাম৷ শাহানুর আলমের নাশকতার পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় এবার জেএমবির সহযোগিতায় শহিদূল ইসলামকে এ কাজে ব্যবহার করতে চাইছে আইসিস৷