নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৬ জুলাই ৷৷ কেন্দ্রীয় সর্বশিক্ষা প্রকল্পে প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে ছাত্র ছাত্রী সহ সুকলের মানোন্নয়নের জন্যে কোটি কোটি রাজ্যে শিক্ষা দপ্তরকে বরাদ্দ দিচ্ছে, তার পরেও গ্রাম পাহাড়ের সুকল গুলির মানোন্নয়ন না হওয়া শিক্ষার পরিকাঠামো দিনের পরদিন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমা বিভিন্ন সুকল গুলির মতো মুঙ্গায়াকামী বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধিন ৪৩ মাইল এলাকায় কৃষ্ণমনি রিয়াং চৌধুরী পাড়া জেবি সুকলটি বিভিন্ন পরিকাঠামোর অভাবে মধ্যে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা পঠন পাঠন করে যাচ্ছে৷
রাজ্যে সরকারের কাছে কৃষ্ণ মনি রিয়াং চৌধুরী সহ পাশ্ববর্তী এলাকার গিরিবাসীদের দাবী ছিল শিক্ষার আলো পৌঁছে দেবার জন্যে এক সুকলের৷ গিরিবাসীদের দাবী অনুযায়ী শিক্ষা দপ্তরে একটি পাকা সুকল বাড়ি নির্মাণ করে কয়েক জন শিক্ষকদের দিয়ে সুকলের পঠন পাঠন চালু করে ৷ সর্বশিক্ষা অভিযান চালু হওয়ার পূর্বে যদিও শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্যে কেন্দ্রীয় সরকার সেই রকম বরাদ্দ প্রতি শিক্ষাবর্ষে তেমন প্রদান করলেও বর্তমানে সর্বশিক্ষা প্রকল্পে প্রতি অর্থবর্ষে কোটি কোটি টাকা রাজ্যে সরকারের শিক্ষা দপ্তরের কোষাগারে পাঠিয়ে দিচেছ৷ তার পরেও গ্রাম পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন হয়না৷ বিগত কয়েক দশক পূর্বে একটা সময় ছিল পাহাড়ী জনপদে থাকা সুকলগুলিতে শিক্ষকরা যেতে সাহস পেতেন না৷ বর্তমানে তা অবশ্য নেই বললেই চলে৷ তার পরে গ্রাম পাহাড়ে ছেলে মেয়েদের সামান্য অক্ষর জ্ঞানটুকু তাদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় না৷ ফলে যে উদ্দেশ্যে শিক্ষা দপ্তর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে যাচ্ছে তার সিংহভাগও ছাত্র ছাত্রীদের কল্যানে কার্যকর হয়না৷
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো গ্রাম পাহাড়ে সুকলগুলি পরিকাঠামোগত দিক দিয়ে সমস্যার ভূগছে৷ বাদ যায়নি মুঙ্গিয়াকামী বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধিন ৪৮ মাইল স্থিত কৃষ্ণ মনি রিয়াং চৌধুরী পাড়ার সুকলটি৷ সুকলটিতে প্রবেশ দ্বারেই সমস্যা৷ জাতীয় সড়ক থেকে প্রায় ৫০০ মিটার লুঙ্গা জমিতে সুকলটির অবস্থান৷ সুকলটির যাতায়তের পথে দীর্ঘ প্রায় বছর পাঁচেক ধরে ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি৷ বর্র্ষর মরশুমে টিলার পথ ভেঙ্গে যেতে হয় সুকলে৷ ছাত্র ছাত্রীরা মরণ ফাদের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে৷ সুকলটি শৌচাগারে, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই৷ যদিও বনজঙ্গলে ঘিরে রয়েছে৷ সর্বশিক্ষা প্রকল্পে যদিও ছাত্র ছাত্রীদের বিকাশের জন্যে খেলা ধূলার গুরুত্ব অপরীসীম৷ কিন্তু সুকলটিতে খেলাধুলার মাঠ পর্যন্ত নেই৷ এদিকে শৌচালয় না থাকায় ছাত্রছাত্রী ঝোপ ঝাড়ের মধ্যে প্রাকৃতি কাজ সারতে হয়৷ বিদ্যুৎ পরিষেবা না পৌঁছায় গরমের মধ্যে হাত পাখা কিংবা কলা পাতার পাখার উপরই নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের৷
বিগত এক বছর তথা এডিসি নির্বাচনের প্রাককালে এডিসির কার্য্যনিবাহী কমিটির সদস্য রাধাচরন দেববর্মা কৃষ্ণমনি রিয়াং পাড়া জেবি সুকলে ঝটিকা সফরে গিয়ে ছিলেন৷ সেই সময় যাতায়াতের মাত্র রাস্তা দিয়ে প্রায় পাঁচশ মিটার নিচে নেমে সুকলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যাতায়াত পথটি সংস্কার করা হবে৷ সেই সময় লম্বা চউড়া প্রতিশ্রুতি একবছর পরেও বাস্তবে রূপায়ন হয়নি৷
এদিকে সুকলটির দৈন্যদশার খবর নিতে ঝটিকাসফরে চলেয ান খোয়াই জেলা বিজেপি কমিটির সাধারন সম্পাদক বিকাশ দেববর্মা৷ তিনি ছাত্রছাত্রী এবং সুকলের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানান, সুকলের সমস্যার ব্যাপারে খবরা খবর নেন৷ বর্তমানে সর্বশিক্ষা প্রকল্পে সুকলের পরিকাঠামো সহ পঠন পাঠনের মানোন্নয়নের কেন্দ্রীয় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজ্যে শিক্ষা দপ্তরকে প্রদান করছে৷ তার পরে গ্রাম পাহাড়ের শিক্ষার মান্নোনয়ন হয়না৷ তিনি অভিযোগ করে বলেন বর্তমান সরকারের একজন এডিসি এর প্রতিশ্রুতি যদি বাস্তবায়ীত হতে বছরের পর বছণ সময় লাগে তবে গ্রাম পাহাড়ে উন্নয়নের কি করে সম্ভব৷
2016-07-07
