পূর্বোত্তরের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ আইন সেবা সম্পর্কে সচেতন নন, তথ্য উঠে এল কর্মশালায়, বিচারের ক্ষেত্রে কাজের পরিধি আরও বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জুন৷৷ সিআরপিসির বিধানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে, কিন্ত

শনিবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের মিলনায়তনে ত্রিপুরা রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি’র উদ্যোগে এবং এনএএলএসএ এর পৃষ্টপোষকতায় ‘লিগ্যাল সার্ভিসেস কর্মসূচী কার্যকর ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক কর্মশলায় বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিল আর ডাভে৷ ছবি নিজস্ব৷
শনিবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের মিলনায়তনে ত্রিপুরা রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি’র উদ্যোগে এবং এনএএলএসএ এর পৃষ্টপোষকতায় ‘লিগ্যাল সার্ভিসেস কর্মসূচী কার্যকর ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক কর্মশলায় বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিল আর ডাভে৷ ছবি নিজস্ব৷

এরকমটা আমার প্রত্যক্ষ করছি না৷ তাই আমাদের প্রচেষ্টা হবে ঐ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কিছু করার যদি তিনি তার দুর্দশার জন্য নিজে দায়ী না হন৷ একই সঙ্গে বিচারের ক্ষেত্রে কাজের পরিধি আরও বাড়াতে হবে৷ শনিবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের মিলনায়তনে ত্রিপুরা রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি’র উদ্যোগে এবং এনএএলএসএ এর পৃষ্টপোষকতায় ‘লিগ্যাল সার্ভিসেস কর্মসূচী কার্যকর ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক কর্মশলায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি অনিল আর ডাভে একথা বলেন৷
এই কর্মশালায় তিনি আরও জানান, আমাদের কাজকর্মের সুযোগ প্রসারিত হয়েছে৷ এডভোকেসি, সালিসি, মধ্যস্থতা, লোক আদালত, সংবেদনশীলতার মতো বিষয়গুলি যুক্ত হয়েছে৷ কিন্তু এগুলি পাওয়ার পরও আমরা কি করছি, প্রশ্ণ তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডাভে৷ তিনি বলেন, এখন দেখা যাচ্ছে এগুলি যথেষ্ট নয়৷ আমাদের কাজকর্মের পরিধি আরও বাড়াতে হবে৷ আমাদের কাজ করতে হবে নারী পাচার আটকানো, নেশা সামগ্রী চোরাচালান বন্ধ করা এবং নারী উন্নয়নে৷ আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং দেখাতে হবে যে আমরা প্রত্যেক সময় ভাল কাজ করতে পারি৷ এটা হতে হবে একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া৷ তাতে প্রমাণ [vsw id=”Hm89Ru_SzHU” source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”yes”]মিলবে আমরা কি করতে পেরেছি৷ তবে, তা সফল হবে যদি আমরা মন দিয়ে কাজ করতে পারি৷
বিচারপতি ডাভে বলেন, পূর্বোত্তরের রাজ্যগুলিতে বেশ কিছু কঠিন সমস্যা রয়েছে এবং আমরা চেষ্টা করে দেখছি কিছু করার৷ হয়তো এটা সম্ভব নাও হতে পারে সমস্ত সমস্যার সমাধান করা, যেমনটা এনএএলএসএ সমস্ত কিছু করতে পারছে না৷ কোন কোন সময় সরকারও অক্ষম হয়ে পড়ছে৷ সুতরাং আমরা সবাই মিলে কাজ করলে, সমাজের জন্য কিছু ভাল হতে পারে, যা জনগণের সার্বিক সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি৷
এদিকে, কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারপতি টি ভাইফেই জোর দিয়ে বলেছেন, ন্যায় বিচার প্রদানের ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে এবং তা নিশ্চিত করা হচ্ছে সাধারণ মানুষ যখনই কোন অবিচারের শিকার হন৷ সেই অবিচার মুছে ফেলার জন্য আইনি ফোরাম সহায়তার হাত বাড়িয়ে রেখেছে৷ আইন সেবা প্রদানকারীদের এটা নিশ্চিত করতে হবে জনগণকে এবং তাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে সঙ্গে সচেতনও করতে হবে৷ ভাইফেই অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে বলেন, এটা দুঃখজনক ঘটনা যে এই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ট জনগণ আইন সেবা সম্পর্কে সচেতন নন৷ যাইহোক, সম্প্রতি আইনি পরিষেবা বেরিয়ে এসেছে একটি ভাল কাঠামোগত, দক্ষ, ব্যাপক এবং কার্য্যকরী আইনি পরিষেবা কর্মসূচীর সাথে৷ তারা সুরক্ষা এবং আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার বলবৎ করার জন্য অসাধারণ এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে৷
এদিনের এই কর্মশালায় ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিচারপতি ইউবি সাহা, বিচারপতি এসসি দাস এবং বিচারপতি এস তলাপাত্র, সিকিম হাইকোর্টের বিচারপতি মিনাক্ষী মদন রাই, অরুণাচলপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে গোস্বামী, মিজোরাম হাইকোর্টের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুইয়া, নাগাল্যান্ড হাইকোর্টের বিচারপতি এন আর চৌধুরী, বার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সদস্য সচিব, আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন৷