BRAKING NEWS

২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের জন্য ৩৫৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে মিলছে না প্রয়োজনীয় অর্থ, প্রতিশ্রুতি রাখতে হিসসিম খাচ্ছে পুর নিগম

AMCনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জুন৷৷ ধার-দেনা করে নিগম চালাতে গিয়ে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হয়ে উঠছে না৷ কারণ নিজস্ব আয় বাড়াতে পাড়ছে না নিগম৷ ফলে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৫৮ লক্ষ টাকা ঘাটতি রেখে ৩৫৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করল পুর নিগম৷ ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের তুলনায় ১০ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বেশি ধরা হয়েছে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে৷ নিগম এলাকার জনগণ সময় মতো সকলে কর প্রদান করেন না, এজন্যই এবারের বাজেটেও ঘাটতি থাকছে বলে জানান পুর নিগমের মেয়র ড প্রফুল্লজিৎ সিনহা৷
বৃহস্পতিবার পুর নিগমের সভাগৃহে মেয়র ড প্রফুল্লজিৎ সিনহা ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করেন৷ এই বাজেটে রাজস্ব সংগ্রহ ৫০ কোটি ৫৭ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা এবং মূলধন সংগ্রহ ৩০৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ এদিকে, এই বাজেটে রাজস্ব ব্যয় ৫০ কোটি ৭৬ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা এবং প্রধান ব্যয় ৩০৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৩১ হাজার ধরা হয়েছে৷ তাতে মোট আয় ৩৫৪ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা এবং ৩৫৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে৷ ফলে, ঘাটতি থাকবে ৫৮ লক্ষ টাকা৷ বাজেটে সরাসরি কোন কর বাড়ানো না হলেও ঘাটতি মেটাতে সম্পদ কর আদায়, ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদির মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷
বাজেট পেশ করার পর সাংবাদিক সম্মেলনে পুর নিগমের মেয়র ড প্রফুল্লজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কি পরিমান অর্থ মিলবে তা এখনো পরিস্কার হওয়া যায়নি৷ ফলে বাজেটে এর কোন উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি৷ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ কমে যাচ্ছে৷ কোন কোন ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাছ থেকেও চাহিদা অনুযায়ী অর্থ মিলছে না৷ ফলে, গত বাজেটে গৃহিত বেশ কিছু কাজ অর্থের অভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়ে উঠেনি৷ এদের মধ্যে অন্যতম আগরতলা শহরের সৌন্দর্যবৃদ্ধি৷ পুর নিগমের মেয়র জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজন অনুসারে অর্থ মিলেনি৷ যার কারণে আগরতলা শহরকে আরও সুন্দর করে তুলার যে প্রতিশ্রুতি গত বাজেটে দেওয়া হয়েছিল তা পূরণ করা সম্ভব হয়নি৷
তবে, তিনি দাবি করে বলেন, সরকারের সাহায্যের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল পুর নিগম শহরবাসীর বিভিন্ন চাহিদা পূরণের যথাসাধ্য চেষ্টা করছে৷ পানীয় জলের সমস্যা সমাধান আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে হয়ে যাবে৷ এডিবি যে প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে তা ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ করবে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও শহরবাসীর সুবিধার্থে বিভিন্ন নির্মাণকাজ সময় মতো সম্পন্ন করা হয়েছে৷
তবে, অতীতের ভূল থেকেই হয়ত শিক্ষা নিয়ে এবারের বাজেটে নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানিকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে আরবিআই অথবা সেবি অথবা রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিস (আরওসি) অনুমোদন থাকা বাধ্যতামূলক বলে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে৷ অবশ্য আরওসি’র অনুমোদনের ভিত্তিতে নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানিকে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হলে তাতে ঝঁুকির বিষয়টি থেকেই যাচ্ছে৷ কারণ, যেখানে আর্থিক লেনদেনের বিষয় জড়িত সেখানে আরবিআই কিংবা সেবি’র অনুমোদন সর্বোচ্চ সুরক্ষিত৷ সেক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেও পুর নিগমের বাজেটে গৃহিত সিদ্ধান্তে নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানিকে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে ফাঁক রয়ে গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷
আগামী ৩০ জুন এই বাজেটের উপর আলোচনা হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *