গুয়াহাটি, ০৭ জুন, (হি.স.) : অরুণাচল প্রদেশের রাজ্যপাল জ্যোতিপ্রসাদ রাজখোয়ার পত্নী রীতা রাজখোয়ার গাড়িকে রহস্যজনকভাবে অনুসরণ করার অভিযোগে ছয় দুষ্কৃতীকে আটক করেছে পুলিশ। বিলম্বে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, গত শনিবার বেলা এগারোটা নাগাদ গুয়াহাটি থেকে ইটানগরের উদ্দেশে অরুণাচল প্রদেশের রাজভবনের লালবাতি সংবলিত একটি টয়্যাটো গাড়িতে রওয়ানা হয়েছিলেন রীতা রাজখোয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন একজন নিরাপত্তারক্ষী। ইত্যবসরে গুয়াহাটির শহরতলি সোনাপুরের আগে তাঁদের টয়্যাটোকে এএস ০১ বিএস ৩২৩৬ নম্বরের একটি মারুতি সুইফট কার অনুসরণ করতে করতে দ্রুতবেগে তাকে অতিক্রম করার চেষ্টা করে। বার বার অতিক্রম করতে গিয়ে রাজ্যপাল-পত্নী আরোহিত টয়্যাটোকে থামতে ইঙ্গিত দিতে থাকে। অনুসরণকারী সুইফটের আরোহীদের চেহারা অপরিচিত বলে অনুমান করে তাঁর গাড়ি চালককে গতিবেগ বাড়িয়ে দিতে বলেন রাজ্যপাল-পত্নী রীতা। এমতাবস্থায় তৃতীয়বার টয়্যাটোকে অতিক্রম করার সময় দুষ্কৃতীরা তাদের গাড়ির নম্বরপ্ল্যাট খুলে নেয়। রীতা রাজখোয়ার গাড়িচালক শরৎ শইকিয়া অনুসরণকারীদের হাত থেকে রেহাই পেতে ১৮০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটে সোজা জাগিরোড থানায় ঢুকে যান। গাড়ি থেকেই ঘটনার ব্যাপারে রাজ্যপাল-স্বামীকে জানান পত্নী রীতা। সে-অনুযায়ী অরুণাচল পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান রাজ্যপাল রাজখোয়া।
এরপর নগাঁও জেলা পুলিশ ও অরুণাচল প্রদেশের পুলিশ এসকোর্ট রাজ্যপাল-পত্নীকে এগিয়ে নিয়ে যায় ইটানগর পর্যন্ত। ঘটনা সম্পর্কে গুয়াহাটি মহানগর থানায় এজাহার জমা পড়লে পূর্ব কামরূপ মহানগর পুলিশের তৎপরতায় অনুসরণকারী গাড়ি-সহ এর ছয় আরোহীকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে তিনজন অসমের এবং বাকি তিনজন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ ও মুজফফরনগরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
অসমের ধৃতরা যথাক্রমে অসীম হাজরিকা, হিরণ্য হাজরিকা ও রঞ্জিত শইকিয়া। এরা তিনজনেই শোণিতপুর জেলার জামুগুড়ি অঞ্চলের বাসিন্দা। অপরদিকে অন্য তিনজন যথাক্রমে মুজফফরনগরের ধর্মেন্দ্র কুমার, গাজিয়াবাদের মহম্মদ আখতার এবং মহম্মদ নাসিম।
রাজ্যপাল জ্যোতিপ্রসাদ রাজখোয়ার পত্নীকে অনুসরণ করার ঘটনার খবর চাউর হতেই অসম ও গোটা অরুণাচল প্রদেশে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
2016-06-07

