নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ মে৷৷ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীর সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে কিশোরীকে প্রতারণার দায়ে এক যুবককে চার বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করলেন ধর্মনগরস্থিত উত্তর জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ ইউ ঋষিদাস৷ শুক্রবার আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে৷ দন্ডাদেশপ্রাপ্ত যুবকের নাম বাদল মহিষ্যদাস (৩০)৷ পাঁচ বছরের কারাবাসের পাশাপাশি আদালত ঐ যুবককে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করেছে৷ এই টাকা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে৷
সংবাদে প্রকাশ, ২০১১ সালের ১৭ মার্চ সকালে এক কিশোরী গৃহশিক্ষকের বাড়িতে গিয়েছিল৷ কিন্তু নির্দ্ধারিত সময়ের মধ্যে ঐ কিশোরী বাড়িতে ফিরেনি৷ অভিভাবক ও আত্মীয়রা বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেও ঐ কিশোরীর কোন হদিশ পায়নি৷ পরবর্তী সময়ে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারেন ঐ কিশোরী পেঁচারথল থানার অধীন শান্তিপুরের বাসিন্দা বাদল মহিষ্যদাসের বাড়িতে রয়েছে৷ পরদিন মধ্যরাতে ঐ কিশোরীকে গ্রামবাসীরা পরিবারের অভিভাবকদের হাতে তুলে দিয়েছেন৷ বাড়িতে ফিরে ঐ কিশোরী সমস্ত ঘটনা খুলে বলে৷ সে জানায়, বাদল মহিষ্যদাসের সাথে তার প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল৷ সেই সুবাদে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাদল ঐ কিশোরীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে৷ শারীরিক সম্পর্কের কিছুদিন পর হঠাৎই বাদল ঐ কিশোরীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে৷ বাদল জানায় ঐ কিশোরীকে পুত্রবধূ হিসেবে তার পরিবার মেনে নেবেনা৷ প্রেমিকের কাছ থেকে এই ধরনের বক্তব্য শুনে ঐ কিশোরী মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং বিষপান করে৷ ২০১১ সালের ১৮ মার্চ রাতে ঐ কিশোরী বিষপান করে এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে৷ এই ব্যাপারে মৃত কিশোরীর পরিবারের লোকজন পেঁচারথল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন৷ মামলার নম্বর ১১/২০১১৷ মামলাটি হয়েছে ইউ এস ৪১৭/৩০৬/৩৪ আইপিসি অনুযায়ী৷ পুলিশ মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে৷ তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এসআই সরু কুমার দেববর্মা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করে৷ দীর্ঘদিন যাবৎ চলে মামলাটি৷ শুক্রবার বিচারক এই মামলায় অভিযুক্ত বাদল মহিষ্যদাসকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং পাঁচ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন৷ সেই সঙ্গে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ডের সাজা ঘোষণা দিয়েছেন৷
2016-05-21

