চলতি শিক্ষাবর্ষে নয়, আগামীতে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিতে এনইইটি চায় রাজ্য সরকার

BADAL HEALTHনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ মে৷৷ চলতি শিক্ষাবর্ষের বদলে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য এনইইটি(নীট) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু করার দাবি জানিয়েছে রাজ্য সরকার৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চলতি শিক্ষা বর্ষেই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে এনইইটির মুখোমুখি হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের৷ সে ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টের লার্জার বেঞ্চে আবেদন করা যেতেই পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী৷ কারণ, সুপ্রিমকোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে সে রায় স্থগিত কিংবা বদল করার ক্ষেত্রে লার্জার বেঞ্চে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ গত ১৬ মে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী এই দাবি জানিয়েছেন৷ আজ মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে এ বৈঠকের তথ্য জানাতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীরাও একই দাবি করেছেন৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, দেরিতে হলেও মেডিক্যালে নীট পরীক্ষা বিষয়ে সব রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড জে পি নাড্ডা৷ বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, নীট পরীক্ষার বিষয়ে রাজ্য সরকার নীতিগত ভাবে একমত৷ বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, আমাদের রাজ্যে দুটি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে৷ একটি রাজ্য সরকার পরিচালিত৷ অন্যটি রাজ্য সরকার দ্বারা গঠিত সোসাইটি পরিচালিত৷ এ জি এম সিতে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি করার জন্য ত্রিপুরা জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড পরীক্ষা নিয়েছে৷ সোসাইটি পরিচালিত টিএমসিতে ভর্তি করানোর জন্য এমাসের ১৫ তারিখে এনট্রান্স পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল৷ সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়নি৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার চায় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে দুটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য বর্তমান পদ্ধতিই অব্যাহত থাকুক৷ রাজ্যের বেশিরভাগ সুকলেই বাংলা ভাষায় পড়ানো হয়৷ তাই আঞ্চলিক ভাষাতেও নীট পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বৈঠকে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সিট শেয়ারিং (আসন বন্টন ব্যবস্থা) এখনকার মতোই থাকতে হবে৷ বর্তমানে একশ আসনের মধ্যে রাজ্য সরকারের আসন ৮৫টি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আসন ১৫টি৷ ভর্তির ক্ষেত্রে এসটি, এসসি এবং সাধারণ শ্রেণীভূক্তদের জন্য রাজ্য সরকারের যে সংরক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে তা অব্যাহত রাখতে হবে৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, নীট পরীক্ষায় কাট অফ পারসেন্টেজ করা হয়েছে সাধারণ শ্রেণীভুক্তদের জন্য ৫০ শতাংশ, এস টি, এসসিদের জন্য ৪০ শতাংশ৷ রাজ্য সরকার দাবি করেছে রাজ্যের দুটি মেডিক্যাল কলেজে রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীদের আসন পূরণের জন্য প্রয়োজনে যেন কাট অফ পারসেন্টেজ কমানো হয়৷ পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং পদ্ধতি তুলে দেওয়ারও দাবি করেছে রাজ্য সরকার৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার আরো আগে উদ্যোগ নিলে ভাল হত৷ মেডিক্যালে ভর্তি করার জন্য রাজ্যগুলিকে সমস্যা পড়তে হত না৷