ঘুমের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত বৃদ্ধা মাকে হত্যার চেষ্টা পুত্র ও পুত্রবধূর

muder photoনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ মে ৷৷ ভট্টপুকুরের কালীটিলা এলাকায় ক্যান্সার আক্রান্ত বৃদ্ধা মা’কে মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে হত্যার চেষ্টা করেন এক কুলাঙ্গার পুত্র৷ গুণধর ঐ পুত্রের নাম সমীর রায় চৌধুরী৷ তার স্ত্রী তুলসী রায়চৌধুরী এবং দুই ছেলে সুমন রায়চৌধুরী ও বান্টি রায়চৌধুরীকে নিয়ে ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা ক্যান্সারে আক্রান্ত শয্যাশায়ী মা’কে হত্যার চেষ্টা করে ঐ কুলাঙ্গার৷ ভাগ্যিস অপর পুত্র বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী ও তার স্ত্রী আঁচ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠে শয্যাশায়ী মা’কে বাঁচানোর চেষ্টা করেন৷ মা’কে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বড় ভাই, বৌদি ও দুই ভাইপো তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে৷ তাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে চৌচির করে দেওয়া হয়৷ তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ তার মাথায় ২৫টি সেলাই লেগেছে৷ ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে আহত বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর স্ত্রী জানান তার শ্বাশুড়ি মা কল্যাণী রায়চৌধুরী ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই শয্যাশায়ী৷ চিকিৎসকরা বলেছিলেন এক বছরের মধ্যেই তার মৃত্যু হবে৷ কিন্তু পাঁচ বছরেও মৃত্যু হয়নি৷ বৃদ্ধার বড় ছেলে সমীর রায়চৌধুরী বৃদ্ধা মায়ের দখল নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এমনকি শয্যাশায়ী মা’কে নানাভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে৷ শুক্রবার মধ্যরাতে পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধাকে হত্যা করে ঐ ঘরের দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা৷ কিন্তু বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী ও তার স্ত্রী টের পেয়ে এগিয়ে আসায় তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ অভিযুক্ত সমীর রায়চৌধুরী আইজিএম হাসপাতালে ক্যাজুয়াল কর্মী বলে জানা গেছে৷ এব্যাপারে বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরীর পক্ষ থেকে এডিনগর থানায় মামলা করা হয়েছে৷ পুলিশ এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ এহেন ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম নজিরও বটে৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি উঠেছে৷